কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসুন আমরা আলোচনা শুরু করি- জনগণের যে প্রত্যাশা ও চাওয়া, তাদের যে মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য- সেগুলো আমরা কী করব।
রোববার (২৩ মার্চ) রাজধানীর বিজয় নগরে ফারস হোটেলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিদের সম্মানে এক ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, পলাতক স্বৈরাচার যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিল, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেরামত করতে হবে। যেহেতু আমাদের রাজনীতি হচ্ছে বাংলাদেশ এবং জনগণকে ঘিরে। আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি হচ্ছে এদেশের জনগণ। কাজেই রাষ্ট্রের এই বিষয়গুলো যদি আমরা মেরামত না করি- এদেশ আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারব না, মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো না।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে জনতার যে অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জনগণের সমর্থন ছিল বলেই পলাতক স্বৈরাচারের মতো একজন মাফিয়াকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে। এই যে জনগণ রাজপথে বেরিয়ে এসেছে, তারা রাজনৈতিক দলগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে। দল-মত-নির্বিশেষে সবাই সমর্থন দিয়েছে যে, একটি পরিবর্তন হতে হবে। নিশ্চিয় জনগণের একটি প্রত্যাশা আছে। কেন তারা এই পরিবর্তন চেয়েছে? আমি মনে করি, জনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে, হঠাৎ ইমারজেন্সিতে কতক্ষণ তাকে অপেক্ষা করতে হবে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য। এরকম আরও অনেক কিছু বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাশা করে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এই বাংলাদেশটি স্বাধীন হয়েছিল লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে। তারপরে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্রকে ব্যাহত করেছেন অনেকেই। একদলীয় বাকশাল বলি, বিভিন্নভাবে বলি না কেন- বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্র ব্যাহত করা হয়েছে।
সংস্কারের বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন সংস্কারের বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে। আজকে অনেক ব্যক্তি সংস্কার নিয়ে অনেক কিছু বলছেন। কিন্তু বাংলাদেশে যে সংস্কার প্রয়োজন, কথাটি সবচেয়ে আগে সেদিন আমরা বলেছিলাম। আমরা সংস্কার নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু দিন শেষে আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি যারা, তাদের ইস্যুগুলোকে নিয়ে আমাদের কি কথা বলা উচিত না। তাদের ইস্যুগুলোকে নিয়ে আমাদের কি চিন্তা-ভাবনা করা উচিত না? অবশ্যই উচিত। কারণ, এটিই হচ্ছে আমাদের রাজনীতি।