লিলু হ ত্যা : ৪ মাসেও খুলেনি রহস্যজট

  • সাড়ে ৩ মাস পর দুজন গ্রেফতার

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

সিলেটের বিশ্বনাথে আলোচিত লিলু মিয়া হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, এর মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছেন একজন। তবে এখন পর্যন্ত এ হত্যার কারণ জানা যায়নি।
 
পুলিশ বলছে- গ্রেফতার দুজন চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য দিচ্ছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাচ্ছে না। তাদের কাছে আরও জড়িতদের নামও আছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

এ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুজন হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলার নওধারা গ্রামের মদরিছ আলীর ছেলে আফজল আলী (২৬) ও সুনামগঞ্জ সদর থানার ধোপাখালী গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মাহাবুবুর রহমান (২২)।

এর মধ্যে মাহাবুবুর রহমানকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ৮ ডিসেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার আমবাড়ি বাজার থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সহযোগী আফজলকে বিশ্বনাথের বৈরাগীবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মাহাবুবুর রহমানকে নিয়ে পিবিআই ঘটনাস্থলে যায় এবং তার দেখিয়ে দেওয়া স্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রাম দা ও মাহাবুবুরের ফেলে আসা জুতা জব্দ করে। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সময় ব্যবহৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশাও জব্দ করা হয়।

পরে এ দুজনকে আদালতে প্রেরণ করা হলে মাহাবুবুর রহমান সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুকের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। তবে এ সময় হত্যার কারণ তিনি জানাতে পারেননি। তিনি জানান- খুন করার জন্য তাকে ভাড়া করা হয়েছিলো। ফলে তিনি হত্যার কারণ বলতে পারছেন না।

পিবিআই জানায়, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নওধার পাড়ার লিলু মিয়া (৪৮) গত ১৪ আগস্ট গ্রামের মসজিদে এশার নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ওৎ পেতে থাকা কয়েকজন হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে খুন করে পালিয়ে যান।

ঘটনার পর লিলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় পিবিআই-কে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র এস.আই মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম মোল্লা বলেন- মাহাবুবুর ভাড়াটে খুনি হওয়ায় হত্যার কারণ বলতে পারেনি। তবে তার কাছ থেকে জড়িত অন্যদের নাম ও আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। বাকিদের ধরতে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছ পিবিআই।