কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
‘ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল ইউকে’র ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গত রোববার দুপুরে লন্ডনের ব্রিকলেন মসজিদ হলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি মনির হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং গয়াছুর রহমান গয়াছের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান, কাউন্সিলর সামছুল ইসলাম, কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশা, মুহিব চৌধুরী ,মস্তাক আলী বাবুল, শাহ মুস্তাফিজ বেলাল ও প্রফেসর মসুদ আহমদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন- প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই সংগঠন বৃটিশ বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করছে, যা প্রশংসা দাবী রাখে।
সভাপতির বক্তব্যে মনির হোসাইন বলেন- ৮০ দশকে এ দেশে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিরা বর্ণবাদের শিকার হতেন। এই বিশেষ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি তরুণরা বৃটিশ রাজনীতিতে যুক্ত হয় এবং কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কিন্ত কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও পার্লামেন্টে কোনো প্রতিনিধি ছিল না। তাই জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশিদের সমস্যা উপস্থাপন করার লক্ষ্যে ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল ইউকে গঠন করা হয়। এই সংগঠন প্রবাসীদের কল্যাণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বৃটিশ পার্লামেন্ট ২০১১ সালে বাংলাদেশিদের সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার করি। এই সেমিনারে কমিউনিটির ব্যক্তিবর্গ ও কাউন্সিলরা এবং বিভিন্ন দলের এমপি-মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
ওই সেমিনারে হাউজিং, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বৈষম্যের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা তাদের গবেষণালব্দ প্রবন্ধ-বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সেমিনার পরবর্তীতে আমরা এই অনুষ্ঠানের সামারি প্রায় ২৫০ জন প্রধানমন্ত্রী, এমপি ও বিরোধী দলীয় নেতাদের কাছে পাঠিয়ে দেই। যার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গউন বৃটিশ সংখ্যালগুদের সমস্যা দূর করার ঘোষণা দেন। আজকে পার্লামেন্টে ৪জন এমপি, আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।
মনির হোসাইন তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন- যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশেও সংগঠনটি আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে ২০০১ সালে তৎকালীন সরকারের কাছে সংস্কারের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করি। তাছাড়া ঢাকা ও সিলেটে এসব ব্যাপারে বিভিন্ন সভা-সেমিনার করি।
সভায় বক্তারা আশা ব্যক্ত করেন- অতীতের মতো ‘ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল ইউকে’ বৃটিশ-বাংলাদেশিদের সাথে নিয়ে প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাবে।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।