ডাবল মা-র্ডা-র : ১৮ বছর পর রায়, ২ ভাইয়ের মৃ-ত্যুদণ্ড

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ভাটিবারাপৈত গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০৭ সালে ডাবল মার্ডারের ঘটনার মামলার রায়ে দুই সহোদরের মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (৩ আগস্ট) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ (পঞ্চম) আদালতের বিচারক ঝলক রায় এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সালেহ আহমদ কওমি কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভাটিবারাপৈত গ্রামের মৃত আবু শহীদের ছেলে বোরহান উদ্দিন (৪৬) ও তার ভাই আব্দুন নুর (৫৩)। 

তাদের আরেক ভাই আব্দুস শুকুরকে (৫০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

মামলার অপর দুই আসামি মৃত সুলেমানের ছেলে ছইদুল (৫৮) ও পাশ্ববর্তী ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত আবু শহীদের ছেলে সুলতানকে (৩৮) ১০ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। 

আর বিচার চলাকালে ২০০৯ সালের ১৬ জুন ১নং আসামি আব্দুল কাশিম মারা যাওয়ায় তাকে এই মামলা থেকে অব্যহতি দিয়েছেন আদালত।

আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ২২ জুলাই দুপুরে বাড়ির সীমানা-প্রাচীর নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামিরা ভাটিবারাপৈত গ্রামের আব্দুল্লাহ ও তার স্ত্রী সাজিদা বেগমের উপর হামলা করেন। তাদের বাঁচাতে আব্দুল্লাহ-এর বাবা আবু বকর (৭১) ও শ্বশুর একই গ্রামের মাওলানা মঈন উদ্দিন (৬০) এগিয়ে এলে হামলাকারীরা বেধড়ক মারধর করেন। 

পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আব্দুল্লাহ-এর বাবা আবু বকরকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

ঘটনার ৪ দিন পর সন্ধ্যায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুল্লাহ-এর শ্বশুর মাওলানা মঈন উদ্দিন। 

এই দুই হত্যার ঘটনায় পরে আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ ১৮ বছর পর অবশেষে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এপিপি নজরুল ইসলাম এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল খালিক।