সিলেট সদর ও জৈন্তাপুরে অভিযান, বালু-পাথর জব্দ

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ এলাকার লুট হওয়া আরও সাদাপাথর সিলেট সদর ও জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

জানা গেছে, সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল ও লালবাগ এলাকার পাঁচটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে প্রায় দেড় লাখ ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার করেছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সহায়তা করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত কয়েক দিন থেকে সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় লুকানো পাথর জব্দ করে ভোলাগঞ্জে প্রতিস্থাপনের কাজ চলছিল। এরই মাঝে ধারণা করা হয়- এ উপজেলার ধোপাগুল ও লালবাগ এলাকার পরিত্যক্ত পুকুরগুলোতে বিপুল পরিমাণ পাথর মজুদ রয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর থেকে এক্সকাভেটরের সাহায্যে পাথরগুলো উত্তোলন শুরু করা হয়। 
সিলেট জেলা প্রশাসন জানায়- দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত ধোপাগুল ও লালবাগ এলাকায় পাথর উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সিলেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরকার মামুনুর রশীদ এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি হাসান হৃদয়।

অভিযানকালে মোট ৫টি পুকুর প্রায় দেড় লক্ষ ঘনফুট সাদা পাথর জব্দ করা হয়। এসব পাথর স্থানীয় এক ওয়ার্ড সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

অভিযানকালে কোনো ভূমি মালিক বা সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি। অবৈধভাবে পাথর মজুদের সঙ্গে জড়িত ক্রাশার মিল মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

অপরদিকে, সিলেটের জৈন্তাপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে উত্তোলিত প্রায় এক লাখ আট হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় উপজেলার সারী নদীর বাওন হাওর ও শেওলাটুক এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র সরকারের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছিল। এর ফলে নদীর পাড়ের ফসলি জমি ও মানুষের চলাচলের রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। বিষয়টি স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরলে প্রশাসন উদ্যোগ নেয়।

সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দীন অভি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রায় এক লাখ আট হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করেন।

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর ইউনিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা এবং জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল।

অভিযান পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দীন অভি বলেন- সিলেটজুড়ে অবৈধ বালু ও পাথরের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এরই অংশ হিসেবে শেওলাটুক ও বাওন হাওরে অভিযান চালিয়ে এক লাখ আট হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।