‘তরুণ-যুবকদের মাধ্যমে দেশে ইসলামি রাজ কায়েম করতে হবে’

কওমি কণ্ঠ রিপোটার :

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন- আমাদের নাবি সা. অন্ধকার যুগে আগমন করেছিলেন। তিনি এসে অন্ধকার সময়কে আলোকিত করেছিলেন। সেই যুগ কেয়ামত পর্যন্ত মডেল হয়ে থাকবে। আমাদেরকেও রাসুল সা. এর মহান আদর্শ অনুসরণ করে সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে।

তিনি বলেন- রাসুল সা. এর মূল জিনিস ছিলো মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। আল্লাহ’র পবিত্র বাণী কুরআন বুঝে পড়লে তো বেশি ভালো, শুধু তিলাওয়াত করলেও এর প্রভাব অনেক। আল্লাহর হাবিব অন্ধকার যুগকে আলোকিত করেছিলেন কুরআন দ্বারাই। সুতরাং মুসলামনদের পুনর্জাগরণের এই সময়ে ঘরে ঘরে কুরআনের তিলাওয়াতের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মুসলমানদরে আগামী প্রজন্মের কণ্ঠে কণ্ঠে কুরআনের তিলাওয়াতের ধ্বনি তুলতে হবে। প্রতিজন মুসলমানের সন্তান যেন কুরআনের বিশুদ্ধ তিলাওয়া শিখতে পারেন- সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

আল্লামা মামুনুল হক আরও বলেন- যে দেশ বা সমাজে ন্যায়বিচার নেই সে জাতিকে আল্লাহ ধ্বংস করে দেন। কিন্তু সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন একমাত্র আলেমরাই। কুরআন নাজিলের অন্যতম উদ্দেশ্যই হচ্ছে সমাজ থেকে বেইনসাফ দূর করা, ন্যায় বিচার কায়েম করা। বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করা। তাই আলেম-সমাজকে জেগে উঠতে হবে। তরুণ ও যুবসমাজকে জাগিয়ে তুলে এ দেশে ইসলামি রাজ কায়েম করতে হবে। বেশিরভাগ তরুণ যুবকের অন্তরে তাওহিদ-ঈমানের নূর প্রজ্জ্বলিত আছে।

আল্লামা হাবিবুর রহমান রাহ. প্রতিষ্ঠিত সিলেটের কাজিরবাজারস্থ ‘জামিয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া’র বার্ষিক ইসলামি মহাসম্মেলনের শেষ অধিবেশনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির। 

কাজিরবাজার জামিয়ায় শুক্র ও শনিবার (১৭ ও ১৮ জানুয়ারি) বার্ষিক ইসলামি মহাসম্মেলন ও ‘আল-জামেয়া কুরআন শিক্ষাবোর্ডের দস্তারবন্দি সম্মেলন-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এতে আওলাদে রাসুল (সা.) আল্লামা সায়্যিদ আফফান মনসুরপুরী (ভারত) ও আওলাদে রাসুল (সা.) আল্লামা ফায়সাল নাদিম (পাকিস্তান)-সহ দেশ-বিদেশের বরেণ্য আলেমগণ নসিহত পেশ করেন। 

জামিয়া মাঠে অনুষ্ঠিত দু দিনব্যাপী সম্মেলন প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।