কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের দিন রাজধানীর চাঁনখারপুলে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্তের খসড়া প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। এ প্রতিবেদন ঈদের পর ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চাঁনখারপুলে গণহত্যা ও পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আনাস। আনাস দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় ২ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়।
এ অভিযোগ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে দাখিল করেন নিহতের নানা।
সেদিন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট গেন্ডারিয়ার বাসা থেকে গোপনে বেরিয়ে আন্দোলনে যোগ দেয় দশম শ্রেণির ছাত্র আনাস। চাঁনখারপুলে গুলিবিদ্ধ হয়ে সে মারা যায়। আমরা কিছু ভিডিও পেয়েছি, যেখানে দেখা যায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অলিগলিতে ঢুকে গুলি চালিয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আনাস বাসা থেকে গোপনে বের হওয়ার সময় তার স্কুলের খাতায় বাবা-মায়ের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখে আসে। চিঠিতে আনাস লিখেছিল, ‘আমি যদি বেঁচে না ফিরি, তবে গর্বিত হইয়ো। জীবনে প্রতিটি ভুলের জন্য ক্ষমা চাই।’
এ ঘটনায় তার বাবা পলাশ প্রধানমন্ত্রীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন।