কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
সুনামগঞ্জে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী, সুনামগঞ্জ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,দিরাই সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সুজাত আহমেদ চৌধুরীর ১৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জানা গেছে, ১৯৪৭ সালের ৭ জানুয়ারি দিরাই উপজেলার তাড়ল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জননেতা সুজাত আহমেদ চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মামদ চৌধুরী ছিলেন একজন সমাজসেবী এবং এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তার মায়ের নাম আলতাজান চৌধুরী। নিজ গ্রাম তাড়ল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুজাত আহমেদ চৌধুরীর শিক্ষাজীবন শুরু। মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে। ১৯৬৭ সালে সুনামগঞ্জ কলেজে ভর্তি হন। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের পতাকা কাঁধে তুলে নেন। ঝাঁপিয়ে পড়েন ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনে। ১৯৬৯ সালের ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতা হিসেবে সুজাত আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে কাজ করেন আওয়ামী লীগের পক্ষে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ সুনামগঞ্জে তিনি প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলার পতাকা। মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নেন এবং স্বাধীনতা উত্তর স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
সুজাত আহমেদ চৌধুরী সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। সামাজিক ক্ষেত্রেও তার রয়েছে যথেষ্ট অবদান। প্রতিষ্ঠা করেছেন দিরাই কলেজ ও তাড়ল উচ্চ বিদ্যালয়। জীবনে কখনও অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। তার লেখা ১১টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘রাজনীতির তিন যুগ’ ‘বিশ্ব এবং বিবিধ প্রসঙ্গ’ ‘শতাব্দীর প্রথম যুদ্ধ’ এবং ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’।
এদিকে, সুজাত আহমেদ চৌধুরীর রূহের মাগফেরাত কামনায় তাঁর ভাতিজা সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সিনিয়র রিপোর্টার কাউসার চৌধুরী সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন।