কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটে তুষার আহমদ চৌধুরী (১৯) হত্যা মামলার ২ আসামিকে রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। সোমবার (২১ এপ্রিল) তাদের আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে কওমি কণ্ঠকে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান।
এই দুই আসামিকে শনিবার দিবাগত রাতে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে সিলেট মহানগরের শাহী ঈদগাহ খেলার মাঠের পেছনে এয়ারপোর্ট থানাধীন দলদলি চা বাগানে ছুরিকাঘাতে খুন হন তুষার আহমদ। তিনি মহানগরের রায়নগর এলাকার অ্যাডভোকেট সাজেদ আহমদ চৌধুরীর ছেলে ও কলেজছাত্র।
ঘটনার রাতেই জাবেদ আহমদ (২৩) নামের অভিযুক্ত তরুণকে মহানগরের আম্বরখানা এলাকার একটি বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। তিনি শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিভাগস্থ ৪১ নং বাসার মৃত সমছু মিয়ার ছেলে।
নিহত তুষারের বাবার দায়েরকৃত মামলার এজাহারে ৩ আসামির মধ্যে একজন জাবেদ। বাকি দুজন ছিলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জালালপুর এলাকার মো. সুনাফর আলী সানোয়ারের ছেলে পারভেজ (২০) ও সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার রন্নারচর গ্রামের সোমলাল দাসের ছেলে রাজু দাস (২৩)। এ দুজনের মধ্যে পারভেজ সিলেট এয়ারপোর্ট থানাধীন কলবাখানী ও রাজু কোতোয়ালি থানাধীন বাগবাড়ি বসবাস করতেন।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই রাতে এ তিনজন তুষারকে ছুরিকাঘাত করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জাবেদকে গ্রেফতারের পর এজাহারভুক্ত বাকি দুজনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ জানতে পারে- এ দুজন গাজীপুরে অবস্থান করছে। শনিবার সকাল থেকেই তাদের ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। অবশেষে ওই দিনগত রাত ২টার দিকে ঢাকার পূর্বাচল সংলগ্ন গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন একটি এলাকা থেকে তুষার হত্যার প্রধান আসামি পারভেজ ও সহযোগী রাজুকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান কওমি কণ্ঠকে বলেন- সোমবার আসামি পারভেজ ও রাজুকে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। ঘটনার বিস্তারিত তথ্যের জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।