কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ :
সুনামগঞ্জ শহরের বাঁধনপাড়া এলাকায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার বাসা থেকে গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ- বাড়ির মালিকের ছেলে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে মেয়েটিকে।
ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম রেজাউল আলম নিক্কু। তিনি পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
নিহত গৃহকর্মী চম্পা বেগম (১৯) সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, চম্পার মরদেহ বাসার জানালার গ্রিলে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথম দেখতে পান ওই বাড়ির মালিকের ছেলে শুভ। তিনি প্রথমে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করার চেষ্টা করেন। পরে তিনি ঢাকায় অবস্থানরত চম্পার চাচাতো বোনকে বিষয়টি জানান। সেখান থেকেই খবর যায় চম্পার পরিবারের কাছে।
চম্পার বাবা বাদশা মিয়া বললেন- ‘তিন বছর আগে চম্পা ওই বাড়িতে কাজ করতো। তখনও ওদের পরিবারের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তাই আমরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসি। কিন্তু পরে বাড়িওয়ালা নিক্কু চেয়ারম্যানের অনুরোধে রমজান মাসে মেয়েকে আবার সেখানে পাঠাই। এরপর কয়েকদিন ধরে মারধরের খবর দিচ্ছিলো। এবার আর বেঁচে ফিরল না।’
চম্পার চাচা পিয়ার আলী বলেন- ‘চেয়ারম্যানের ছেলে শুভ মেয়েটাকে মেরে জানালাতে লটকিয়ে রেখেছে। মেয়েটি থাকতো নিচ তলায়, শুভ’র রুমের জানালায় লটকানো পাওয়া গেছে। আমরা আসার পর কাউকে পাইনি। তারা পালিয়েছে।’
অভিযুক্ত শুভ’র বড় ভাই অ্যাড. ইশতিয়াক আলম পিয়াল বললেন- সকালে এই ঘটনা দেখে পুলিশকে ফোন দিয়েছি। পরে জানতে পারলাম- এক ছেলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ছিলো। রাতে নাকি ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছে। স্ট্যাটাস দেখলেও বুঝা যাবে, কীভাবে কী হয়েছে।
প্রতিবেশী তিমন চৌধুরী বলেন- রেজাউল আলম নিক্কুর পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে দেখছি। তাদের ব্যবহার খারাপ, এটি কেউ বলতে পারবেন না। তবুও তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে আসা করি।
সুনামগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিবুর রহমান বলেন- খবর পেয়ে আমরা গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালৈা পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
(রিপোর্টার : মো. আব্দুল হালিম)