কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
গত তিন দিনের ভারি বৃষ্টিতে সিলেট মহানগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফলে অভিজাত এলাকা শাহজালাল উপশহর ছাড়াও মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। ওসব এলাকার রাস্তাঘাটে জমে আছে পানি। ড্রেন উপচে ময়লা পানি-আবর্জনা ঢুকছে বাসা বাড়িতে। এতে স্কুলগামী শিশুসহ ওসব এলাকার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
ভুক্তভোগীরা জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী করছেন সাবেক মেয়রদের।
সিলেটের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব আহমদ জানান, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিলেটে বেশি বৃষ্টি হয়। গত তিন দিন অতিভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে। চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে আরও কিছু দিন।
তিনি বলেন, ২০২২ সালে একদিনে ২৫৬ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড আছে।
অতিবৃষ্টিতে নগরীর চৌহাট্টা, দাড়িয়াপাড়া, আখালিয়া, সুবিদবাজার, খাসদবীর, বাদামবাগিচা, মুন্সিপাড়া, কেওয়াপাড়া, দরগামহল্লা, রাজারগলি, হাওয়াপাড়া, ভাতালিয়া, শিবগঞ্জ লামাপাড়ার অধিকাংশ রাস্তা ডুবে যায়।
জলাবদ্ধতার শিকার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। মুরারিচাঁদ কলেজ ক্যাম্পাসেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। অপর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে ক্যাম্পাসগুলোর এমন অবস্থা।
মুরারিচাঁদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল আনাম মোহাম্মদ রিয়াজ বলেন, কলেজ উন্নয়ন ফান্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ নেই। এ কাজগুলো শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের। এ ব্যাপারে তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলব।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৪নং ওয়ার্ডের বাহুবল আবাসিক এলাকার ১নং রোডে জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেন নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাহুবল ইউনিক ক্লাবের নেতারা।
স্মারকলিপি গ্রহণ করেন সিসিকের প্রশাসক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খান মো. রেজা-উন-নবী ও চিফ ইঞ্জিনিয়ার নূর আজিজুর রহমান।
বাহুবল ইউনিক ক্লাবের পক্ষে সভাপতি মুহিবুর রহমান, সাবেক সভাপতি সালেহ আহমদ, সাবেক সহ-সভাপতি আহমদ সত্তার সুমন ও সদস্য রায়হান আহমদ এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, অল্প বৃষ্টি হলেই সিলেট সিটি করপোরেশনের নবগঠিত ৩৪নং ওয়ার্ডের বাহুবল আবাসিক এলাকার ১নং রোডে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় এলাকাবাসীদের।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, পানি জমলেও পরে নেমে যায়। ড্রেনগুলো পরিষ্কারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। এ অঞ্চলের জন্য এই বৃষ্টি স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন তিনি।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বৃষ্টির কারণে সিলেট অঞ্চলের কুশিয়ারা, দলাই, পিয়াইন, সারিগোয়াইন, সুনামগঞ্জের জাদুকাটা ও মৌলভীবাজারের মনু নদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
(মূল রিপোর্ট : যুগান্তর)