কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের চানপুর এলাকায় সুরমা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনায় সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহ জামাল নূরুল হুদাকে ক্যাম্পে ডেকেছিলো সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে সেনা সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি তাকে ক্যাম্পে আসতে হয়।
সূত্র জানিয়েছে, রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে শাহ জামাল নূরুল হুদার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন অভিযোগ ছিলো। অবশ্য শাহ জামাল নূরুল হুদা দাবি করেন সেনাবাহিনীর একজন মেজর তাকে ক্যাম্পে ডেকেছিলেন। মেজর এই বালু উত্তোলনের সঙ্গে কারা জড়িত-এই বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছেন। এর বাইরে কিছু হয়নি।
এলাকাবাসী জানান, সুরমা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে চানপুর এলাকায়। সাম্প্রতিক সময়ে এই ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারণ করে। গত সপ্তাহে চানপুর গ্রামবাসী মানববন্ধন করে দ্রুত ভাঙ্গন ঠেকাতে ব্লক স্থাপনসহ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান। বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির নদী ভাঙ্গন পরিদর্শনে গেলে এলাকাবাসী অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে তাকে অবহিত করেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর একটি টিম সুরমা নদীর চানপুর এলাকায় গিয়ে অভিযান চালায়। এসময় দুই বালু উত্তোলনকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তারা সিলেট জেলা বিএনপির সহ- সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহ জামাল নূরুল হুদার দোহাই দিলে সেনাবাহিনীর অভিযানকারী টিম নূরুল হুদার সাথে যোগাযোগ করেন। তখন নূরুল হুদা নিজেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাতের কথা বলে নূরুল হুদাকে রিকাবীবাজারস্থ অস্থায়ী সেনাক্যাম্পে আসার কথা জানানো হয়। তিনি সেখানে রাত ৯টা পর্যন্ত অবস্থান করেন।
এ ব্যাপারে শাহ জামাল নূরুল হুদা জানান, সুরমা নদীর বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন করা হয়ে থাকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ একটি চক্র লীজকৃত জায়গা বাদ দিয়ে অন্য জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার খোঁজ করে। আমি সেখানে গেলে বিষয়টি এলাকার বাসিন্দা হিসেবে সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গিয়ে বিস্তারিত খুলে বলতে অনুরোধ করেন। এরপর আমি সেখানে গেলে তথ্য উপাত্ত জানতে চান। আমি বিস্তারিত কথা বলে এসেছি। অন্যকিছু নয়। অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
(মূল রিপোর্ট : সিলেটের ডাক)