কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনভিত্তিক একক প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিএনপি। আড়াইশ আসনে শিগগরিই একক প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে।

এই অবস্থায় দলীয় সূত্র বলছে- অন্তত ৬০টি আসন নিয়ে নির্ভার বিএনপি। এসব আসনে বিএনপির সিনিয়র ও জনপ্রিয় নেতারা একক প্রার্থী।

এদিকে, প্রায় প্রতিদিনই দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদের ডাকা হচ্ছে। সেখানে ভোটারদের মন জয়ের পাশাপাশি ঐক্যবদ্ধ থেকে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ত্যাগী নেতা যারা মনোনয়ন পাবেন না, তাদের ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হবে। তবে দলীয় নিদের্শনা অমান্য করলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার বিকালে সিলেট বিভাগের চার জেলার ১৯টি সংসদীয় আসনে দলের প্রায় ৮০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে গুলশান কার্যালয়ে ডাকা হয়। 

বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনয়ন, নির্বাচনি প্রস্তুতি, প্রচারণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেন বিএনপির টিকেট প্রত্যার্শীদের। সভায় দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুব শিগগিরই একক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে। 

সিলেট বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ বলেন- তাদের সঙ্গে বৈঠক বলা হয়েছে একক প্রার্থী দেওয়া হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনগণকে সন্তুষ্ট এবং ভোটারদের মন জয় করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদমাধ্যমকে বলেন- ‘প্রার্থিতার ক্ষেত্রে ইয়াং জেনারেশন এবার আগের চেয়ে আরেকটু বেশি অগ্রাধিকার পাবে। কারণ, তারা অনেক বেশি অ্যাকটিভ। নারীরাও যথেষ্ট অগ্রাধিকার পাবে।’ 

এদিকে, চলতি মাসেই অন্তত ২৫০টি আসনে একক প্রার্থীকে ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তফশিলের পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা করা হবে। নানা দিক বিবেচনায় এবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এরই মধ্যে হাইকমান্ড থেকে ফোনে কল করে কয়েকটি আসনে একক প্রার্থীকে নির্বাচনি গণসংযোগে নামার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারা ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন।