কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজারে আসছে নতুন নকশা করা নোট। প্রাথমিকভাবে কাগজের দুই টাকা থেকে এক হাজার টাকার নোট ছাড়া হবে। এসব নোটে থাকবে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি’ ছাড়াও দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা নিদর্শন।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নতুন নোটের ডিজাইন ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে এবং ছাপার কাজও চলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘নতুন নোটে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির পাশাপাশি দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নিদর্শন হিসেবে পাট ও ধানের শীষ থাকতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মে মাসের শেষের দিকে এই নতুন নোট বাজারে ছাড়া হবে। নতুন ৯ ধরনের নোট ছাপানো হলেও সবগুলো এখনই পাওয়া যাবে না। প্রাথমিকভাবে কোরবানির পশু ক্রয় ও গ্রাহকের লেনদেন সুবিধার্থে ১০০০ টাকা নোট ছাড়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক সূত্র বাংলাদেশের খবরকে নিশ্চিত করেছে, আগামী রোববার ২৫ মে থেকে নতুন টাকার নোট ছাড়া হবে। প্রাথমিকভাবে ১০০০ টাকার নোট পুরোপুরি ছাড়া হলেও সীমিত পরিসরে অন্য নোটও বাজারে ছাড়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায়, বাজারে নতুন নোট ছাড়ার পর ধীরে ধীরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত নোট পর্যায়ক্রমে তুলে নেওয়া হবে। এখনো ব্যাংকগুলোর ভল্টে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট আছে।
বাংলাদেশে টাকা ছাপানোর কারখানা হিসেবে পরিচিত সিকিউরিটি প্রিন্টার্স বা টাকশালের সক্ষমতা অনুযায়ী, বছরে সর্বোচ্চ ১২০ কোটি পিস নতুন নোট ছাপানো সম্ভব, যেখানে চাহিদা প্রায় ১৫০ কোটি পিস। এ প্রেক্ষাপটে প্রাথমিকভাবে চার ধরনের নোটের ডিজাইন পরিবর্তনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সব নোটই নতুন রূপে আনা হবে।
গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় নতুন নোট ছাপানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। এর ভিত্তিতে সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং চিত্রশিল্পীদের সমন্বয়ে তৈরি কমিটি ডিজাইন চূড়ান্ত করে।