সিলেটে ঘন ঘন লোডশেডিং, কারণ কী

  • কুমারগাঁওয়ে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বিকল

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সিলেটের কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে, বিদ্যুৎ সরবরাহে এর প্রভাব পড়ছে পুরো সিলেটজুড়ে।

তাছাড়া জাতীয় গ্রিড থেকেও সরবরাহ কম হওয়ায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে সিলেটে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি'র) সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির জানান- এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে কাজ চলছে। দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে বলেও জানান তিনি।

ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন, চলমান এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যে সম্প্রতি বিদ্যুতের লোডশেডিং বাড়ায় তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে রাতের বেলা লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন- লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কাজকর্ম কমে গেছে। একটি কাজ শুরু করলে সেটি শেষ করার আগেই চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকছে না ।

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলছেন- পরীক্ষার মুহুর্তে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট লেখাপড়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। তাছাড়া, বিদ্যুতের অভাবে ফ্যান, এসি ঠিকমতো চালাতে না পারায় বিভিন্ন অসুখবিসুখ দেখা দিচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেট মহানগরসহ আশপাশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। সেটি এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকায় সরবরাহে চাপ পড়ছে। ফলে দেখা দিয়েছে লোডশেডিং।

২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অসম্মতি জানান। 

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল চন্দ্র সরকার জানান, ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বিকল হওয়ায় তারা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সমস্যা পোহাচ্ছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। যার কারণে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি হচ্ছে। 

পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর জেনারেল ম্যানেজার আব্দুর রশিদ জানান, পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর আওতাধীন এলাকায় প্রতিদিনের চাহিদা ১১৩ মেগাওয়াট। গত কয়েকদিন ধরেই চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে করে গ্রাহকরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

পিডিবি'র সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির আরো জানান, কয়েকদিন ধরে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় লোড শেডিং হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৭শ' মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় দেড়শ' মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল।


(মূল রিপোর্ট : সিলেটের ডাক)