কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় আহত এনামুল হক (২৫) সাংবাদিকদের বলেছেন- ‘আমি আর রুম্মান বোর্ডিং ব্রিজের দুটি চাকা খুলছিলাম। নাট খোলার সময় রুম্মানের পাশে থাকা একটি চাকা হঠাৎ বিকট শব্দে ফেটে যায়। আমার পেটে, পায়ে এবং একটি আঙুলে গুরুতর আঘাত লেগেছে। এরপর আমি আর কিছু বলতে পারি না।’
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যার পর তিনি এ কথা বলেন। এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজের (বিমানে উঠার সিড়ি) চাকা মেরামতের সময় একটি চাকা ফেটে রুম্মান আহমদ (২২) নামের এক টেকনিশিয়ান মারা গেছেন।
নিহত রুম্মান সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাধীন টিলাপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানী বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের বোর্ডিং ব্রিজের চাকা বদলানো হচ্ছিল। সানরাইজ নামক কারিগরি প্রতিষ্ঠানের টেকনিশিয়ানরা এই কাজ করছিলেন। একটি চাকা খোলামাত্র সেটি সজোরে গিয়ে রুম্মান ও তার সহকর্মী এনামুল হককে (২৫) ধাক্কা মেরে সেটি বিস্ফোরিত হয়ে যায়। আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেখানে আইসিইউ-তে সিট খালি না থাকায় গুরুতর আহত রুম্মানকে নেওয়া হয় জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও খালি ছিলো না আইসিইউ। রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মারা যান রুম্মান।
এ ঘটনায় আহত হন এয়ারপোর্ট থানাধীন মহালদিগ গ্রামের এনামুল হক। এ দুজন সানরাইজ নামক একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ছিলেন।