সিলেটের সূর্যসন্তান বঙ্গবীর ওসমানীর জন্মবার্ষিকী আজ

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

সিলেটের সূর্যসন্তান, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ১০৭ তম জন্মবার্ষিকী আজ ১ সেপ্টেম্বর (সোমবার)।

১৯১৮ সালের এই দিনে বাবা খান বাহাদুর মফিজুর রহমানের কর্মস্থল সুনামগঞ্জে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জে।

এম এ জি ওসমানী যৌবনে ব্রিটিশ আর্মিতে যোগ দেন। তিনি ছিলেন বাঙালিদের মধ্যে ব্রিটিশ আর্মির সর্বকনিষ্ঠ মেজর। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে থাকাকালে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

সত্তরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে এমএনএ নির্বাচিত হন এমএজি ওসমানী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সর্বধিনায়ক হিসেবে অসামান্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন তিনি।

স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তাঁকে বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সের জেনারেল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭২ সালে দায়িত্ব থেকে অবসর নিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন। ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন তিনি। ১৯৭৪ সালে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।

পরে আওয়ামী লীগের বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে ১৯৭৫ সালে সংসদ সদস্য পদ ও আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৯ আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান। তবে ৩ নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পর ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৬ সালে জাতীয় জনতা পার্টি নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

এমএজি ওসমানী ১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।

পরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এম এ জি ওসমানী মৃত্যুবরণ করেন।

তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সিলেটে হযরত শাহজালাল (রাহ.) দরগাহ গোরস্থানে দাফন করা হয়।

তাঁর সম্মানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ওসমানী বিমানবন্দর ও সিলেট মহানগরের ধোপাদিঘীরপাড় এলাকায়  শিশু পার্ক ও ওসমানী জাদুঘর রয়েছে।