কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে স্থাপিত ‘প্রেস’ ঢাকায় স্থানান্তরের উদ্যোগ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি, সিলেটবাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ও গণমাধ্যমের সহায়তার ফলেই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে এসেছে।
রোববার (৩১ আগস্ট) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আন্দোলনকারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি অফিসিয়াল চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে স্থাপিত ‘প্রেস’ সরানোর কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত নেই, বরং সেটিকে আরও কার্যকর করার বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, “সিলেট বিভাগের আওতাধীন ৩৬টি উপজেলায় ভূমি জরিপ কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৭-৮৮ সালে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জনস্বার্থে ২০১২ সালে সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে একটি মিনি প্রেস স্থাপিত হয়, যা সরানোর কোনো পদক্ষেপ বর্তমানে সরকারের বিবেচনায় নেই।”
সিলেটবাসীর ব্যানারে গড়ে ওঠা এই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আতাউর রহমান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম এবং সমাজসেবক জাহেদ আহমদ ও কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এই সফলতা কেবল আন্দোলনকারীদের নয়, পুরো সিলেটবাসীর। আমরা বিশ্বাস করি, দল-মত নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে সিলেটের স্বার্থ রক্ষায় পাশে ছিলেন বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।”
তারা বলেন, আন্দোলনের সময় সিলেটের স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন, যা প্রশাসনিক পর্যায়ে সাড়া ফেলেছে।
বক্তারা বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, যিনি আন্দোলনের শুরু থেকেই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং বিষয়টি ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার ও ভূমি সচিবের নজরে আনেন।
তারা আরও বলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে পাশে ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সরকার পক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশংসা করেন আন্দোলনকারীরা। তারা কৃতজ্ঞতা জানান ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার ও সিনিয়র সচিব এস এম সালেহ আহমদ-এর প্রতি, যাদের হস্তক্ষেপেই স্থানান্তর পরিকল্পনা বন্ধ হয় এবং সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট প্রেস কার্যকর রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আতাউর রহমান বলেন, “সিলেটবাসীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধভাবে পাশে থাকার আহ্বান জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে এই অঞ্চলকে ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে।”