সিলেটের পাঠানটুলা করেরপাড়া আবাসিক এলাকায় অবস্থিত বিশ্বমানের তাহফিজুল কুরআন মাদরাসাআর-রশীদ ইসলামিক ইনস্টিটিউটেমাহে রবিউল আউয়াল উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিতসিরাত সেশনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান৯অক্টোবর বৃহস্পতিবার ইনস্টিটিউটের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপালহাফিজ মাওলানা সাদিকুর রাহমান। পরিচালনা করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষাসচিবমাওলানা উবায়দুল্লাহ হারুন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রিসের এথেন্সস্থহজরত বিলাল (রা.) জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব মাওলানা ফখরুদ্দীন মোবারকএবং ইসলামাবাদ জামে মসজিদের ইমাম ও খতীবমাওলানা ছাদিকুর রহমান।
শিক্ষক মণ্ডলীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেনহাফিজ মাওলানা আলমাছ আলী, মাওলানা আব্দুল বাসিত, মাওলানাজামিলআহমদ, হাফিজআলবাবআহমদ,মাওলানা মিজানুর রহমান ও সালমানহোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ফখরুদ্দীন মোবারক বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। তাঁকে অনুসরণ করতে হলে আগে তাঁকে জানতে হবে। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য নবীজীকে জানা ও মানা উভয়ই আবশ্যিক দায়িত্ব।”
তিনি আর-রশীদ ইসলামিক ইনস্টিটিউটের সিরাতভিত্তিক এ সৃষ্টিশীল আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং ছাত্রদের মাঝে নবীজীর জীবনচর্চা বিস্তারের আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা সাদিকুর রাহমান বলেন, “প্রতিটি বিষয়ের জাকাত আছে, আর জ্ঞানের জাকাত হচ্ছে তা অন্যকে শিক্ষা দেওয়া। আজ থেকে প্রত্যেক ছাত্র নিজের জানা সিরাত অন্যকে জানাবে এবং ঘরে ঘরে পারিবারিক সিরাত তালিমের আয়োজন করবে।”
তিনি জানান, এ বছর সিরাত সেশন ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে‘ছোটদের শিশু-কিশোর সিরাতপাঠ’গ্রন্থের আলোকে। পুরো রবিউল আউয়াল মাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের এ বই থেকে সিরাত শেখানো হয় এবং মাস শেষে সবার অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন যথাক্রমেআল-হাবিব তাহসিন, আরিয়ান আহমদ আবিরওতানিম কাজি।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে অতিথিবৃন্দ, শিক্ষক মণ্ডলী ও প্রিন্সিপাল পুরস্কার ও নগদ অর্থ তুলে দেন।