- কর্মীদের অসন্তোষ
- পদ পেতে ‘সুবিধাভোগিদের’ লবিং
- যাচাই শেষে আটকেছে কয়েকজনের আবেদন
কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ :
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের তিন মাস হতে চললেও এখনো ১৬টি ইউনিট কমিটি গঠন করা হয়নি। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে।
তবে জেলা বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন- শিগগিরই ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ শেষ হবে।
গত বছরের ৪ নভেম্বর কেন্দ্র থেকে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির ৩২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা কলিম উদ্দিন আহমদ।
১৬ নভেম্বর আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় জেলার ১২ উপজেলা, চার পৌরসভা, ৮৮ ইউনিয়ন এবং সব ওয়ার্ডের পুরনো কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। তবে এরপর থেকে তৃণমূলের কার্যক্রম কোনো কমিটি ছাড়াই চলছে।
জানা গেছে সিলেট বিভাগে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের কাছে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়। ২৭ নভেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আগামী ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায় পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা বিএনপির নেতারা জানান- গত মঙ্গলবার রাতে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি সভা হয়েছে।
এদিকে, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির ১৬ ইউনিটের কমিটিতে আহ্বায়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়কের পদ পেতে আগ্রহীদের মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে তিন জনের আবেদন নাকচ করা হয়েছে। এছাড়া আবেদন স্থগিত করা হয়েছে ২৭ জনের।
চূড়ান্তভাবে বাতিল হওয়া ৩ জনের আবেদনের মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়ক পদে আবেদনকারী মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হক, দিরাই উপজেলা বিএনপিতে আহ্বায়ক পদে আবেদনকারী রশিদ আহমদ বাচ্চু এবং সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় যুগ্ম-আহ্বায়ক পদে আবেদনকারী ফারুক আহমদের আবেদন চূড়ান্তভাবে বাতিল হয়েছে বলে দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এরা ফরম সংগ্রহের সময় যে টাকা দলীয় দপ্তরে জমা দিয়েছিলেন সেটিও ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দিরাই উপজেলা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- “যারা ১৭ বছর ধরে রাজপথে নেই, তাদের পদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এমনকি আওয়ামী লীগে যোগদান করা ব্যক্তি, দলের বিদ্রোহী প্রার্থীও এখন বিএনপির আহবায়ক হওয়ার চেষ্টা করছেন। এ ধরনের পরিস্থিতি আমাদের জন্য হতাশার।
জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির এক নেতা অভিযোগ করেন- “কমিটি গঠনে জেলার নেতারা অযথা সময়ক্ষেপণ করছেন। বিভাগের মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি ইতোমধ্যে ইউনিট কমিটিগুলো গঠন করে ফেলেছে। তাহলে সুনামগঞ্জে গড়িমসি কেন?”
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বলেন- ‘যাদের আবেদন চূড়ান্তভাবে নাকচ হয়েছে তাদের ফরমের টাকাও ফেরত দেওয়া হবে। বিএনপির কোনো পর্যায়ের কমিটিতে তাদেরকে না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকি আবেদনগুলো যাচাইবাছাই হচ্ছে।’