জামিন পেলেন বৈছাআ নেতা আক্তার

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

জামিন পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক মো. আক্তার হোসেন (২৬)। রোববার (২৩ মার্চ) বিকালে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিজ্ঞ বিচারক ছগির আহমদ তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার (২২ মার্চ) সিলেটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ইফতার মাহফিলে মারামারির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক মো. আক্তার হোসেনকে (২৬) গ্রেফতার করেছে শাহপরাণ থানাপুলিশ। রোববার (২৩ মার্চ) ভোরে তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

আক্তার শাহপরাণ থানাধীন আউসা (হাউসা) গ্রামের আব্দুল মনিরের ছেলে।

জানা যায়, শনিবার সিলেট মহানগরের আরামবাগ এলাকার একটি কনভেনশন হলে আয়োজিত এনসিপি’র ইফতার মাহফিলে এ দলের ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মাঝে হাতাহাতি-মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় লিডিং ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও বৈছাআ’র সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম-সদস্যসচিব মাহবুবুর রহমান শান্ত  আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইফতারের ঠিক ৭/৮ মিনিট আগে মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন এনসিপি’র সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। এমন সময় মঞ্চে বসা নিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।

এনসিপির এক যুগ্মআহ্বায়ক পদবীর এক নেতা বলেন- বৈষম্যেবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। এর মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা নাসির ও গালিবসহ অন্তত ২৫/৩০ জন ইফতার মাহফিলে এসে হট্টগোল ও হাতাহাতি করে বেরিয়ে যান। ইফতারের সময় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও পরবর্তীতে আবারো তারা মারামারিতে জড়ান। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। 

এদিকে, ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণকালে কয়েকজন ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কয়েকজন নেতা। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানালে তারা উল্টো তেড়ে আসেন।

পরে সাংবাদিক নেতাদের হস্তক্ষেপে নেতাকর্মীরা সরে গেলেও ইফতার না করেই সাংবাদিকদের বড় একটি অংশ অনুষ্ঠাস্থল ত্যাগ করেন।