ভাঙচুর-লুট : এ পর্যন্ত ১ মামলা, গ্রেফতার ২০

(গ্রেফতার হওয়া ২০-এর মধ্যে ১৪ জনের ছবি)

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

সিলেটে সোমবার (৭ এপ্রিল) ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচির সুযোগে কয়েকটি দোকান ও রেস্টুরেন্টে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুষ্কৃতারীরা। এসব ঘটনায় বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গল ও বুধবার- এ দুদিনে ২০ জনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার বেলা আড়াইটায় কওমি কণ্ঠকে তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক। 

কারাগারে যাওয়া ২০ জন হলেন- মো. রাজন (২০), ইমন (১৯), মো. রাকিব (১৯), মো. আব্দূল মোতালেব (৩৫), মিজান আহমদ (৩০), সাব্বির আহমদ (১৯), নাইদ আহমদ (১৯), মো. রবিন মিয়া (২০), সৈয়দ আল আমিন তুষার (২৯), মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০), মো. রিয়াদ (২৪), মো. তুহিন (২৪), আল নাফিউ (১৯), মো. সোহেল খান (৪২), সুমন মিয়া রুপন (৩৫), অরুন মালাকার (৩৫), মো. লাহিন মিয়া (২৫), মামুন আহমেদ (৩৪) ও টিপু মিয়া আকাশ (২০)।

ওসি কওমি কণ্ঠকে বলেন- এরা ভাসমান ও বিভিন্ন কলোনির বাসিন্দা। জনসমাগমের সুযোগে লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও অনলাইনে জুতা বিক্রির বিজ্ঞাপন সূত্রে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০ জনের মধ্যে ১৪ জনকে গতকাল (মঙ্গলবার) ও ৬ জনকে আজ (বুধবার) আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি টানা বর্বর হত্যাযঞ্জের প্রতিবাদে সোমবার সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একদল দুষ্কৃতকারী সিলেট মহানগরের মিরবক্সটুলায় অবস্থিত কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় রেস্টুরেন্টের ভিতরে থাকা বিভিন্ন কোমল পানীয় নষ্ট করা হয়। 

প্রায় একই সময়ে মহানগরের দরগাহ গেইট এলাকায় জুতার কোম্পানি বাটার শো-রুমে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও পারেনি। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

ঘটনার দিন রাতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

নির্দেশনায় তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ আছে। তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে এ নিয়ে কাজ করছে।’ 

আইজিপি আরও বলেন, ‘সরকার কোনো ন্যায়সঙ্গত বিক্ষোভে বাধা দেয় না। তবে, প্রতিবাদ কর্মসূচির আড়ালে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।’

এদিকে, সিলেট মহানগরের মীরবক্সটুলার রয়েল মার্ক হোটেলে ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনায় হোটেলটির কর্মকর্তা (ম্যানেজার অপারেশন) আব্দুল মতিন সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা (নং-১১) দায়ের করেছেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত পলাতকদের গ্রেফতারে অবিযান অব্যাহত আছে।