কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটের দলদলি চা বাগানে তুষার আহমদ চৌধুরী (১৯) নামের কিশোর হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন ৩ জন। এর মধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকি দুজনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, শেষ খবর পাওয়া (বুধবার দুপুর দেড়টা) পর্যন্ত মরদেহের ময়না তদন্ত চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছে মামলার প্রস্তুতিও।
এ ঘটনায় ৩ ঘণ্টার মধ্যে একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আটক জাবেদ আহমদ (২৩) শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিভাগস্থ ৪১ নং বাসার মৃত সমছু মিয়ার ছেলে। তাকে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে আম্বরখানা এলাকার একটি বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে সিলেট মহানগরের শাহী ঈদগাহ খেলার মাঠের পেছনে এয়ারপোর্ট থানাধীন দলদলি চা বাগানে ছুরিকাঘাতে তুষার আহমদ খুন হন।
তিনি মহানগরের রায়নগর এলাকার অ্যাডভোটেক সাজেদ আহমদ চৌধুরীর ছেলে ও কলেজছাত্র।
পুলিশ বলছে- পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তুষারকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে- জাবেদ ও তুষারসহ ১৫-২০ ছেলে কিশোর ও তরুণ প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে আড্ডা দিতো। তারা অনেকেই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও তারা সেখানে জড়ো হন। তবে রাত ৮টার দিকে তাদের মাঝে বিরোধ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং দুপক্ষ হয়ে যায়। একপর্যায়ে জাবেদসহ ৩ জন তুষারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তুষার ঘটনাস্থলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পড়ে থাকেন এবং এসময় তিনি চিৎকার করতে থাকেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মহানগরের মীরবক্সটুলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাত ১০টার দিকে পুলিশ দলদলি চা বাগানে ঘটনাস্থলে যায় এবং পরে বেসরকারি ওই হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠায়।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বুধবার দুপুরে কওমি কণ্ঠকে বলেন- লাশের ময়না তদ্ন্ত হচ্ছে। অপরদিকে, নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ঘটনায় জাবেদ নামে একজনকে আমরা দুই ঘণ্টার মধ্যেই আটক করেছি। মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
ওসি কওমি কণ্ঠকে বলেন- হত্যাকাণ্ডে ছিলেন জাবেদসহ ৩ জন। বাকি দুজনকে ধরতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।