নিজেদের ‘সংশোধন করছে’ র‍্যাব

  • ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি-ছিনতাইয়ে র‍্যাবের ১৬ সদস্য আটক
  • র‍্যাবের দ্বারা নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা 
  • জুলাই-আগস্টে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার বিষয়টি তদন্তাধীন

কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে র‍্যাবের ১৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। পরে র‍্যাবের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। এই কাজ করতে গিয়ে র‍্যাবের ১৬ জন সদস্য বিভিন্ন অপরাধে সাথে জড়িয়ে পড়েন। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অপরাধের কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

শহিদুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র‍্যাবের ৫৮ জন কর্মকর্তা ও ৪ হাজার ২৪৬ সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। 

তিনি বলেন, র‌্যাবের বিরুদ্ধে গুম খুনসহ কিছু অভিযোগ আছে। র‌্যাবের দ্বারা যারা নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ভবিষ্যতে এ বাহিনী এমন কোনো কার্যক্রমে কারও নির্দেশে জড়িত হবে না। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সেসবের বিচার নিশ্চিত করা হবে।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালে তদন্তাধীন। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন সংশ্লিষ্টরা।

র‍্যাব ডিজি আরও জানান, ৫ আগস্টের পর আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিদ্রোহ, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীলতা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতির ঘটনায় দায়িত্ব পালনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে র‍্যাব। সাড়ে ১৪ হাজার আসামিসহ এখন পর্যন্ত অবৈধ ২০ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।