সিলেটে র‍‍্যাবের অভিযানে ৬ জন গ্রেফতার

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍‍্যাব)-৯ এর অভিযানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন মানবপাচার ও ৫ জন হত্যা মামলার আসামি। 

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত (২৬ এপ্রিল)- ২৪ ঘণ্টায় র‍‍্যাব-৯ এর পৃথক টিম এ ৬ জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কেছরীগুল গ্রামের সজ্জাদ আলীর ছেলে সরফ উদ্দিন নবাব (৪০), হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের মৃত নির্মলেন্দু হোম রায়ের ছেলে আষোতোষ হোম রায় বুদ্ধ (৫০), তার ভাই নীলোৎপল হোম রায় লিটন (৪৬), একই গ্রামের মৃত রাজকুমার সূত্রধরের ছেলে রাখেশ সূত্রধর বৈরাগী (৫৫) ও বৈরাগীর ছেলে রাংকু সূত্রধর (৩০) এবং জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের মৃত ছনাওর আলীর ছেলে কাজী সুন্দর আলী (৫৫)।

র‍‍্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান- মানবপাচার মামলার আসামি সরফ উদ্দিন নবাব ও তার সহযোগীরা মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার ডিমাই গ্রামের আব্দুল কাদির ও গিয়াস উদ্দিনকে ভারতে পাচার করে সে দেশ থেকে তাদের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে ভিডিও ধারন করে পরিবারের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপন দাবি করে।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের ধরতে র‍‍্যাব-৯ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍‍্যাব-৯ সিপিসি-২ (মৌলভীবাজার)-এর একটি টিম শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বড়লেখা থানাধীন ডিমাই বাজার থেকে সরফ উদ্দিন নবাবকে গ্রেফতার করে। 

অপরদিকে, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে নগর জগন্নাথ আখড়ার সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে দায়েরকৃত মামলার ৪ জন আসামি আষোতোষ হোম রায় বুদ্ধ, নীলোৎপল হোম রায় লিটন, রাখেশ সূত্রধর বৈরাগী ও রাংকু সূত্রধরকে শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানাধীন মীরপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার থেকে গ্রেফতার করে র‍‍্যাব। 

এছাড়া হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ঈদের জামাত আয়োজন নিয়ে বাকবিতণ্ডায় ছুরিকাঘাতে একজনকে হত্যার ঘটনায় কাজী সুন্দর আলী নামের আসামিকে গ্রেফতার করে র‍‍্যাব-৯ এর আরেকটি টিম। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মৌলভীবাজার সদর থানাধীন নাজিরাবাদ ইউনিয়নের দশকাহনীয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারের পর সবাইকে সংশ্লিষ্ট থানাপুলিশের কাছে হস্তান্তার করেছে র‍‍্যাব।