কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) দুই মেয়াদের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাজ্য সফরে। গুঞ্জন উঠেছে- ‘দুটি মিশন’ নিয়ে লন্ডনে গেছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যে ২ সপ্তাহ থাকার কথা থাকলেও ‘মিশন দুটি সফল’ হওয়ায় ফিরছেন সফর সংক্ষিপ্ত করে, ৭ দিনের মাথায়, ১০ মে।
এদিকে, লন্ডনে থাকা অবস্থায় নামাজে ইমামতি করে প্রশংসায় ভাসছেন সিলেটের জননন্দিত এই মেয়র। ইউটিউবভিত্তিক একটি চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়- লন্ডনে মাগরিবের নামাজ পড়াচ্ছেন আরিফুল হক চৌধুরী।
আরিফুল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ট একটি সূত্র কওমি কণ্ঠকে জানায়- বুধবার (৩০ এপ্রিল) লন্ডনের ইস্ট হ্যাম এলাকায় কয়েকজন রাজনৈতিক ও কমিউনিটি নেতাকে নিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন তিনি। উপস্থিত সময়ে কোনো আলেম না থাকায় এ নামাজের ইমামতি করেন আরিফুল হক।
নামাজের এই ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সিলেটের আলেম-সমাজসহ অনেকেই নিজের ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে প্রশংসা করেন সাবেক সিসিক মেয়রের।
আদিব আহমদ নামের একজন লিখেছেন- ‘লন্ডনে নামাজের ইমামতি করছেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী । খুবই ভালো লাগলো। একজন রাজনৈতিক নেতার তিলাওয়াত তুলনামূলক অনেক শুদ্ধ।’
সুলাইমান আহমদ হুজাইফা নামের একজন লেখেন- ‘এই দৃশ্যগুলো ভালো লাগার, লন্ডনে নামাজের ইমামতি করছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের জনন্দিত অপরাজিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।’
সিলেট কাজিররবাজার জামিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকালে এই ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে লেখেন- ‘জনাব আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট নগরীর সাবেক জননন্দিত মেয়র। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। সিলেটের উলামায়ে কেরামের আপনজন। হজরত মাওলানা রশিদুর রাহমান ফারুক হাফিজাহুল্লাহ পীর সাহেব বরুণার সাথে তাঁর আধ্যাত্মিক সম্পর্ক। আগষ্ট বিপ্লব পরবর্তী সিলেট শহরে শেখ মুজিবের ম্যুরাল অপসারণ আন্দোলনে উলামায়ে কেরামের সাথে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন। আলেম উলামার প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
যুক্তরাজ্যে সংক্ষিপ্ত সফরে রয়েছেন। বিএনপি নেতাদের নিয়ে নামাজের ইমামতি করছেন। তেলাওয়াত শুনে বিমোহিত হলাম। তুলনামুলক অনেক ভালো। উলামায়ে কেরামের সাথে সুহবাতের (সংস্পর্শে) কারণে এমনটা হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে দেশ জাতি ও ইসলামের সেবায় কাজ করার জন্য আরও হিম্মত বাড়িয়ে দিন।’
উল্লেখ্য, গত রোববার লন্ডনের উদ্দেশে সিলেট ছাড়েন আরিফুল হক চৌধুরী। পরদিন গিয়ে পৌঁছেন সেখানে। এরই মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে।
আরিফুল হক চৌধুরীর এক নিকটজন সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন- সিলেটের সাবেক মেয়রকে সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশাসকের দায়িত্ব নিলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি ‘প্রশাসক’ পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচন করবেন। এমনটিই বলা হয়েছে তাকে।
ওই ব্যক্তি বলেন- সিলেট সিটি করপোরেশন এখন প্রায় স্থবির। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য রাজনৈতিক প্রশাসকের বিকল্প দেখছে না সরকার। আর এই মুহূর্তে আরিফুল হক চৌধুরীর মতো নির্ভরযোগ্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। সে জন্য তার কথা ভাবা হচ্ছে।