দুই কিশোরী দিয়ে হোটেলে অনৈতিক কাজ, সিলেটের স্বামী-স্ত্রী রিমান্ডে

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

দুই কিশোরীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সিলেট থেকে কক্সবাজার নিয়ে গিয়ে আবাসিক হোটেলে আটকে অনৈতিক কাজ করানোর ঘটনায় গ্রেফতারকৃত স্বামী-স্ত্রীকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে আমামিদের তুলে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক ছগির আহমদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

আসামি দুজন হলেন- সিলেটের শাহপরাণ থানাধীন পীরেরবাজার এলাকার টিকেরপাড়ার বাসিন্দা শাহনাজ বেগম ও তার স্বামী মুরাদ আহমেদ রাজু।

এর আগে ২৮ এপ্রিল ভোররাতে শাহপরাণ থানাপুলিশ অভিযান পরিচালনা করে নিজ বাড়ি থেকে এ দুজনকে গ্রেফতার করে। 

দুদিনের রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন। তিনি বলেন, ‘দুই কিশোরীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত দুই আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহেল চন্দ্র সরকার মানবপাচার মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি শাহনাজ বেগম ও তাঁর স্বামী মুরাদ আহমেদ রাজুর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

পুলিশ জানায়, ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৮ এপ্রিল শাহপরাণ মাজার গেট থেকে দুই কিশোরীকে (১৬ বছর) তাদের প্রতিবেশী শাহনাজ ও তার স্বামী মুরাদ আহমেদ রাজু কক্সবাজারে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের ছেলে ইমন হোসেন ও মেয়ে পিংকি ওরফে বৃষ্টি মিলে ওই ২ কিশোরীকে কক্সবাজারে দুটি হোটেলে ১৫ দিন আটক রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে।

একপর্যায়ে দুই কিশোরী সিলেটে পালিয়ে আসে। পরে তাদের অসুস্থ অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তিভোগী এক কিশোরীর মা বাদী হয়ে ২৭ এপ্রিল রাতে শাহপরাণ থানায় মামলা (নং-২৩) দায়ের করেন। মামলা দায়েরের একদিনের মাথায় শীর্ষ অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।