কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেট মহানগরের চালিবন্দর এলাকায় স্বামী-স্ত্রীর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুনা যাচ্ছে নানা গুঞ্জনও। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং দুই লাশেরই ময়না তদন্ত করানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে মহানগরের চালিবন্দর এলাকার খন্দকার নামের একজনের বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা এই বাসায় ভাড়াট থাকতেন।
নিহতরা ওই বাসার ভাড়াটিয়া রুবেল আহমদ (৩০) এবং তার স্ত্রী রাজনা বেগম (২৫)। এর মধ্যে রুবেলের বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও রাজনার বাবার বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়। ৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
রুবেলের মা জানিয়েছেন, সকালে ঘরের কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজনা। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। স্ত্রীর মৃত্যুর শোকে রুবেল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তবে রাজনার মা দাবি করেছেন, তার মেয়ে আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন না। তার মেয়ে ও জামাইকে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, দুজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে একসঙ্গে দুজনের মৃত্যু স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। তাই দুই লাশেরই ময়না তদন্ত করানো হচ্ছে। বিষয়টি আমরা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুবেল হিজড়ার বেশ ধরে সিলেটজুড়ে একটি চক্রের হয়ে কাজ করতেন। রাস্তায়, বিয়ের সেন্টার, দোকানপাট ও মানুষের বাসাবাড়িতে গিয়ে করতেন চাঁদাবাজি। এছাড়া স্ত্রীকে দিয়ে করাতেন অসামাজিক কাজ। মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীকে দিয়ে জোরপূর্বক অসামাজিক কাজ করাতে গেলে রাজনা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুধবার সকালে তার অসুস্থতা বাড়ে এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ঘটনার পর বিচলিত হয়ে হার্ট অ্যাটাক করেন রুবেল। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।