সিলেটের ভয়ংকর এক যুবক, পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে যা করে বেড়াতো

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার : 

মূলত: ডাকাত। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয়ে করেছেন বিয়ে। জড়িত বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী কাজেও। তবে রক্ষা হয়নি, ভয়ংকর এই সিলেটরে যুবককে ধরতে পেরছে পুলিশ। 

পুলিশ পরিচয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড করে বেড়ানো জাকারিয়া আহমদ তাপাদার ওরফে রাজনের (৩৪) বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে। তিনি এ উপজেলার কসকনকপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সবুর তাপাদারের ছেলে।

শনিবার (১৪ জুন) ভোরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন তারাব পৌরসভার বাশার পুলিশ বক্সের কাছ থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রাজনকে আটক করে পুলিশ।

রোববার (১৫) তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে। দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। 

বিজ্ঞ আদালত রাজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং রিমান্ড শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আটকের পর জাকারিয়া আহমদ তাপাদারের কাছ থেকে ডিবি পুলিশের পোষাক, ওয়াকিটকি, একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, এক রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, ধারালো অস্ত্র, পুলিশের নকল একটি পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়- রাজন এএসপি পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে রূপগঞ্জের চানপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মাহতাব চৌধুরীর মেয়ে মারিয়া চৌধুরীকে প্রায় চার বছর আগে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন পর যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন মারিয়া চৌধুরী।

এছাড়া সহযোগিদের নিয়ে ঢাকা ও পাশের এলাকার মহাসড়কগুলোতে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডিবির পোশাক ও ওয়াকিটকি ব্যবহার করে ডাকাতি এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।  

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজন সব অপরাধের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তার চক্রের তিনিসহ মোট ১৫ জন সদস্য রয়েছে বলে পুলিশের কাছে জানায় রাজন।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান- রাজন ভয়ংকর এক অপরাধী। ঢাকার কয়েকটি নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তিনি। রাজন ও তার চক্রের সব তথ্য জানার জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদ করার জন্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে।