হোটেল কর্মচারী খু ন, প্রধান আসামির রিমান্ড চাইবে পুলিশ

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

সিলেটে হোটেল কর্মচারী খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানব্ন্দী না দিলে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ। 

তথ্যটি সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে কওমি কণ্ঠকে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক। 

তিনি জানান- এখন পর্যন্ত আর কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা যায়নি। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

রোববার (১৩ জুলাই) সকালে মহানগরের কাজিরবাজার এলাকার শাপলা রেস্টুরেন্টে কাস্টমারকে চা দিতে দেরি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে কর্মচারী খুনের ঘটনা ঘটে। 

খুন হওয়া মো. দিনার আহমদ রুমন (২২) সিলেটের দক্ষিণ সুরমা জালালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সব্দলপুর গ্রামের মৃত তখলিছ মিয়ার ছেলে।  

এ ঘটনায় রোববার বিকালে আব্বাস মিয়া নামের প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা গেছে, কাজিরবাজার তোপখানা এলাকার বাসিন্দা আব্বাস মিয়া রোববার সকালে শাপলা রেস্টুরেেন্টে নাশতা করতে আসেন। তিনি প্রায়ই সকালে এখানে নাশতা করেন বলে জানা গেছে। 

রোববার সকালে তিনি শাপলা রেস্টুরেন্টে এসে প্রথমে পরোটা-ভাজি খান। পরে তিনি কর্মচারী রুমনকে ডাক দিয়ে চায়ের অর্ডার দেন। এসময় চা দিতে দেরি হলে রুমনের সাথে আব্বাস মিয়ার বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এসময় দোকানে থাকা লোকজন ও দোকান মালিক মিলে আব্বাস মিয়াকে শান্ত করলেও দোকান কর্মচারী রুমনের বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আব্বাস মিয়া তার ছেলেদের ফোনকল দিয়ে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। ছেলেরা এসে দোকানের কর্মচারী রুমনের সঙ্গে ফের তর্কাতর্কিতে জড়ায় এবং একপর্যায়ে আব্বাস মিয়ার ছেলেরা রুমনকে মারধর করতে থাকেন। এসময় আব্বােসের ছোট ছেলে রোহান থাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

পরে স্থানীয়রা রুমনকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর নিহত রুহানের ভাই রেজু মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে আব্বাস মিয়াকে আদালতে তোলা হবে বলে কওমি কণ্ঠকে জানিয়েছেন ওসি জিয়াউল হক।