কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬-এ অংশগ্রহণের লক্ষ্যে প্রথম ধাপে মোট ২২৩টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ৫৯/৩/৩, পুরানা পল্টন, ঢাকাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলের আমির, শায়খুল হাদীস আল্লামা মুহাম্মাদ মামুনুল হক। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ, অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন খান, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ, নির্বাহী সদস্য মাওলানা আব্দুস সোবহান ও মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী এবং কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও মাওলানা মুহসিন বেলালী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে দলীয় অবস্থান ব্যাখ্যা করে জানানো হয়, আগামী জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নিম্নকক্ষে আংশিক অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Partial PR) এবং উচ্চকক্ষে পূর্ণ অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Full PR) ভিত্তিক দ্বিকক্ষীয় (bicameral) সাংবিধানিক কাঠামোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
দলীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, একদলীয় একচ্ছত্র শাসনব্যবস্থা জনগণের ইচ্ছার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ। অনুপাতিক পদ্ধতিই পারে সকল শ্রেণি ও মতধারার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে।
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা মামুনুল হক বলেন- ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
দুঃখজনকভাবে ইদানিং দেখা যাচ্ছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলো নিজেদের মধ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করছে। এই পারস্পরিক বিরোধ ফ্যাসিবাদের দোসরদের উৎসাহিত করছে। তারা জুলাই-আগস্টের বিপ্লবীদের বিরুদ্ধেও হামলার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আমরা সবাই যদি সচেতন না হই, তবে ফ্যাসিবাদ আবারও মাথাচাড়া দেবে। এখনই সময় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার।
তিনি গোপালগঞ্জে এনসিপি আয়োজিত কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানান। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই- এই হামলাকারী আওয়ামী লীগ দোসরদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। গোপালগঞ্জ কোনো বিচ্ছিন্ন জেলা নয়; ইসলাম ও মুসলমানদের কল্যাণে এর রয়েছে এক গৌরবময় ঐতিহ্য। ইনশাআল্লাহ, এখানকার মানুষই এসব হামলাকারীদের প্রতিহত করবে।
.png) 
                     
                     
                     
                         
                                                 
                                                 
                                                 
                                                 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    