কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
সিলেটে আন্দোলনের শুরুটা ছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা এসে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে আন্দোলন করছিলেন। অহিংস সেই আন্দোলন হঠাৎ সহিংস হয়ে ওঠে পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও ধরপাকড়ে। শাবিপ্রবি থেকে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সিলেট নগরীর কেন্দ্রস্থলগুলোতে।
আন্দোলন দমন করতে পুলিশের পাশাপাশি বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দেন। সেটিই ছিল সিলেটের ‘লাস্ট অস্ত্রবাজি’। অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়া এসব নেতারা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে পরিচিত ছিলেন। সরকারের পতনের পরদিনই তারা গা-ঢাকা দেন। কেউ কেউ দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান বিদেশে, কেউ আবার এখনো মুখ দেখাচ্ছেন না। এক বছরেও তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা না যাওয়ায় তারা এখন পরিচিত ‘পালিয়ে ফার্স্ট’ নামে।
অস্ত্রবাজির সূচনা :
২০২৪ সালের ৫ জুন সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও সিলেটে শুরু হয় ৩ জুলাই, শাবিপ্রবি কেন্দ্র করে। ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ১৭ জুলাই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয় অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ওই দিনই ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরাও মাঠে নামেন। পুলিশ তখন ছাত্রদলের মিছিলে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পাল্টা প্রতিরোধে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়ে।
১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে সিলেটেও শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেলে শাবিপ্রবি ফটক আন্দোলনকারীদের শূন্য হলে সেখানে পুলিশি পাহারা বসানো হয়। ওইদিনই ছাত্রলীগের মিছিলে বন্দুক ও দা প্রদর্শনের মাধ্যমে সশস্ত্র মহড়ার শুরু হয়। যুবলীগের সাবেক নেতা এম এ হান্নান (মুরগি হান্নান) তখন একটি ৯ এমএম পিস্তল নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দেন।
অস্ত্রবাজির চিত্র :
২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ছাত্রলীগ-যুবলীগের একটি দল শহরের মদিনা মার্কেট দিক থেকে রামদা, পাইপ ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। নেতৃত্বে ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক এমদাদ রহমান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছী দিনার ও রেজাউল ইসলাম রেজা, জাকিরুল আলম জাকির, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ এবং মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ।
একই সময় নগরীর টিলাগড় গ্রুপের ছাত্রলীগ ক্যাডার আনছারকে একটি দোনলা বন্দুক এবং হাসানকে একটি শটগান দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছুড়তে দেখা যায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয় কয়েকজন ছাত্রকে। ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্র সেন।
১৮ জুলাইয়ের পর থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিবাদে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি পালন করে। আন্দোলন দমন করতে পুলিশ তখন নেতা-কর্মীদের দেখানো পথে গুলিবর্ষণ ও ধরপাকড় চালায়।
সর্বশেষ অস্ত্রবাজি হয় ৪ আগস্ট। ওইদিন বেলা ১১টায় ছাত্র-জনতার জমায়েত হয় সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে। এ সময় সিটি পয়েন্ট থেকে পুলিশের একটি দল টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গের চেষ্টা চালায়। ছাত্র-জনতা পিছু হটে পুরান লেন সড়কের গলির মুখে অবস্থান নেয়।
তখন কয়েকজন ফটোসাংবাদিক প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী মধুবন মার্কেটের পঞ্চম তলায় বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অস্ত্রবাজরা পুলিশের উপস্থিতিতেই ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। পুলিশের পাশাপাশি গুলি চালায় অস্ত্রধারীরাও। ছাত্রলীগ-যুবলীগের অন্য একটি দল জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে হামলা করে।
দুদিক থেকে চেপে ধরা হামলায় ছাত্র-জনতা অবস্থান ত্যাগ করলে অস্ত্রবাজরা কোর্ট পয়েন্ট এলাকা দখল নেয়। ওই সময় জাতীয় গণমাধ্যমের এক আলোকচিত্রী ক্যামেরায় সর্বশেষ অস্ত্রবাজির ছবি ধারণ করেন।
অস্ত্রবাজির আড়াই ঘণ্টা :
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট। বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা আড়াই ঘণ্টা সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকা অস্ত্রবাজদের দখলে ছিল। এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র (বর্তমানে অপসারিত) আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ মো. শিবলু আহমেদ ওরফে রুহুল আমিন একটি এম-১৬ অটোমেটিক রাইফেল হাতে মহড়া দেন। রাইফেলটি তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মতো কাঁধে বহন করছিলেন। তার পাশে ছিলেন মহানগর যুবলীগের উপদপ্তর সম্পাদক সজল দাস অনিক, যিনি একটি অত্যাধুনিক বন্দুক প্রদর্শন করে আতঙ্ক ছড়ান।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান একটি একনলা বন্দুক হাতে শিক্ষার্থীদের খোঁজাখুঁজি করেন। তার সঙ্গে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী বাবুল হোসেন ওরফে পাঙ্গাশ বাবুল। মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ হান্নান (মুরগি হান্নান) একটি ৯ এমএম পিস্তল এবং ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ হোসেন একটি একনলা বন্দুক প্রদর্শন করেন। তারা প্রকাশ্যে গুলি লোড করে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখান।
একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পীযুষ কান্তি দে। তার দলের সদস্য লম্বা মুনিম (বন্দুক মুনিম) প্রকাশ্যে কর্মীদের অস্ত্র চালানো শেখাচ্ছিলেন।
‘লাস্ট অস্ত্রবাজি’তে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন পদে থাকা সব নেতাকর্মী অংশ নেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ২৭ জনকে সশস্ত্র অবস্থায় দেখা গেছে এবং তাদের সঙ্গে ছিল আরও অন্তত ৫০ জন অনুগামী। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি ৭৭ জনের মতো। পরদিন ৫ আগস্ট সকাল থেকে এসব অস্ত্রবাজরা আত্মগোপনে চলে যায়। অনেকে ভারত হয়ে বিভিন্ন দেশে পালানোর চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।
প্রকাশ্যে অস্ত্রহাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের মহড়া :
তাদের মধ্যে তিনজনের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, শেষ মহড়ার অস্ত্রবাজির ‘তকমা’ আড়াল করতেই তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন ভারত অবস্থান করছেন বলে জানান, অন্যজন দাবি করেন তিনি এখনো দেশে আছেন। তাদের দাবি, শিবলু, হান্নান ও অনিক ছাড়া বাকি সবার হাতে গুলিছাড়া বন্দুক ছিল, যা শুধুই ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। শিবলুর এম-১৬ রাইফেলটি জুলাই মাসেই বিদেশ থেকে আনা হয়।
শিবলু আহমেদ লন্ডনপ্রবাসী। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেয়র হওয়ার পর থেকে তিনি ঘনিষ্ঠজন হিসেবে দলীয় মিছিল-মিটিং-শোডাউনে নিয়মিত অংশ নিতেন। ৪ আগস্টের ‘লাস্ট অস্ত্রবাজি’র মূল নিয়ন্ত্রকও ছিলেন শিবলু। সরকার পতনের পর তিনি লন্ডন চলে গেছেন বলে জানা গেছে। তার মোবাইল নম্বরে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অধরা হলেও মামলার জালে আটকা :
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অস্ত্রবাজির দিন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ ও সহকারী কমিশনার গোলাম দস্তগীরের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালন করছিল। সরকার পতনের পর অস্ত্রবাজির ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ওএসডি করে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর আদালতে দায়ের হওয়া বিভিন্ন মামলায় তারাও আসামি হয়েছেন। এর মধ্যে দুটি হত্যা মামলায় ওই দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলায় ১৪ নম্বর আসামি মো. শিবলু আহমেদ এবং ১৩ নম্বর আসামি সজল দাস অনিক। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্র সেন হত্যা মামলায় ১৭ নম্বর আসামি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান।
এছাড়া সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্বৃত্তপনার একাধিক ঘটনায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা ও মহানগর শাখার আরও ২৭ জন পদধারী নেতা বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়েছেন।
অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশ আলাদাভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছিলেন সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। গত বছর পটপরিবর্তনের পর সিলেটে যোগদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথম মতবিনিময়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে যারা অস্ত্রবাজি করেছেন, তাদের অনেকের ভিডিও, ছবি আমাদের কাছে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে এক বছর পেরিয়ে গেলেও এই বিষয়ে কোনো অগ্রগতির তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মুখপাত্রও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে মহানগর পুলিশের মুখপাত্র, এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘লাস্ট-ফার্স্ট বিষয় নয়, অস্ত্রবাজরা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না।’ তিনি আরও জানান, অস্ত্রবাজদের মধ্যে যারা দেশে রয়েছেন, তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘চিনির পথে’ পলায়ন :
‘পালিয়ে ফার্স্ট’ যারা, তারা ধরপাকড় থেকে বেঁচে গেছেন। অস্ত্রাবাজির তালিকায় থাকা চারজন বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটছেন। বাকিরা পলাতক। গত বছরের ১৮ জুলাই সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকায় প্রথম অস্ত্রের মহড়ায় অংশ নেন। এরপর মদিনা মার্কেট, বাগবাড়ি ও সুবিদবাজার এলাকায় তাকে দেখা গেছে। ১৮ আগস্ট তার সঙ্গে হোয়াইটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে তিনি তার অবস্থান তামাবিল সীমান্ত এলাকায় বলে জানান।
এরপর তার সঙ্গে আরও দুদফা যোগাযোগের পর জানা গেছে তামাবিল পেরিয়ে ডাউকি হয়ে শিলং পুলিশবাজারে অবস্থান করেন। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতা অবস্থান করছেন। তার দাবি, তিনিই প্রথম নিরাপদে দেশ ছেড়েছেন। তার দেওয়া তথ্যমতে, বিচ্ছিন্নভাবে ১৭ জন দেশে ছেড়েছেন। এরমধ্যে দুজন যুক্তরাজ্যে, একজন যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। মধ্যপ্রাচ্যেও অবস্থান করছেন কয়েকজন। তাদের কেউ দেশে ফিরতে রাজি নন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতিতে রয়েছেন।
কিভাবে গেছেন, জানতে চাইলে ভিসা আগে থেকে থাকায় তারা গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন। কোন পথে, কোন পন্থায়? বিস্তারিত জানতে চাইলে দেশে থাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার নামোল্লেখ করে তার নতুন একটি মোবাইলফোন নম্বর দেন। যোগাযোগ করলে ওই লোকটি জানান, অস্ত্রবাজির পর সবাই সন্ত্রস্ত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত তারা পালাক্রমে ১৭ জন পালিয়েছেন। কোন পথে? জানতে চাইলে সংক্ষেপে ‘চিনির পথে’ জানিয়ে লোকটি ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তঘেঁষা সিলেট ও সুনামগঞ্জের ২৯টি সীমান্ত রুট চিনি চোরাচালানির পথ হিসেবে চিহ্নিত। অভিযোগ ছিল, চিনি চোরাচালানির সঙ্গে জড়িত নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের পদধারী প্রায় সব নেতা। চোরাই চিনির সেই চেনাপথই তারা ব্যবহার করেছেন। এরমধ্যে কেবল সিলেটের কানাইঘাটের দনা সীমান্ত পথটি বন্ধ হয়ে যায় ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট। ওই দিন রাতে দনা সীমান্তে ধরা পড়েন সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এরপর থেকে ওই পথটি বন্ধ ছিল। এছাড়া, সীমান্তের বাকিপথগুলো ব্যবহার করে ভারত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছান অস্ত্রবাজরা। ঝুঁকিপূর্ণ সেই পারাপারে তাদের টাকা খরচ করতে হয়েছে।
(মূল রিপোর্ট : পতাকা নিউজ)