সাংবাদিক তুরাবের ভাইয়ের বিষয়টি সমাধান করে দিলেন সিলেটের ডিসি

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

সিলেটে গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠান থেকে জুলাইযোদ্ধা সেলিম আহমদকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন আবু জাফর মো. জাবুর। তিনি জুলাই শহিদ সাংবাদিক এ টি এম তুরাবের ভাই।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বৈঠকে এ দুঃখ প্রকাশ করেন। 

সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের উদ‍্যোগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সমাধানের বিষয়টি কওমি কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন সিলেটের ডিসি।

এর আগে বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে আবু জাফর মো. জাবুর কওমি কণ্ঠকে মুঠোফোনে বলেন- সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিন অনুষ্ঠানে অডিয়েন্সে বসা দুপক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এসময় জুলাইযোদ্ধা সেলিম আহমদের প্রতি অপর পক্ষ চড়াও হয়। আমি তাঁকে বাঁচানোর স্বার্থে অনুস্থানস্থল থেকে বের করে দেই। তবে বের করার সময় তার শরীরে ধাক্কা লাগে, এটা ঠিক হয়নি, আমি বুঝতে পারছি। এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি আবারও বলছি- দুপক্ষকে শান্ত করাই ছিলো আমার মূল উদ্দেশ্য, সেলিম ভাইকে হেয় বা অপদস্থ করা নায়। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো- সেলিম ভাইকে আমি চিনতে পারিনি। যাই হোক- সবকিছুর পরে আমি এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।  আমি মনে করছি- একটি কুচক্রি মহল রাজনৈতিক দল ও জুলাইযোদ্ধাদের মাঝে দূরত্ব তৈরি করতে ষড়যন্ত্র করছে। সিলেট স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আমার অুনরোধ থাকবে- আপনাদেরই ভাই মনে করে আমার দুঃখ প্রকাশকে সাদরে গ্রহণ করে নিবেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠান থেকে জুলাইযোদ্ধা সেলিম আহমদকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে। 
সেলিম জুলাই আন্দোলনের সময় চোখে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

সেলিমের অভিযোগ ছিল- জুলাইয়ের শহিদ সাংবাদিক এ টি এম তুরাবের ভাই জাবুরসহ কয়েকজন মিলে তাঁকে মারধর করে বের করে দেন।

এদিকে, সেলিমকে বের করে দেওয়ার একাধিক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক, যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা। বিকেলে মিছিলটি সিলেট মহানগরের শিবগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে নাইওরপুল পয়েন্টে সমাবেশ করে।

এতে সভাপতির বক্তব্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান জামাল বলেন- জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠান থেকে চোখ হারানো জুলাইযোদ্ধা সেলিমকে লাঞ্ছনা করেছে বটবাহিনীর সদস্যরা। তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া সেলিমকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার জন্য প্রশাসনকে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।