কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে আয়োজিত জুলাই স্মৃতি ফুটসাল টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শাহপরাণ থানাপুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
এদিকে, হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ফাহিম বাদি হয়ে এ মামলা করেন। মামলার এজাহারে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০-২৫ জনকে।
এসব তথ্য কওমি কণ্ঠকে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান- গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার বিকেলে সিলেটের বালুচর নয়াবাজার এলাকার কিংস ফুটসাল মাঠে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কলেজের ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
ঘটার পরপরই শাহ আলম একজনকে আটক করে পুলিশ। তিনি রোহিঙ্গা টিলার জোনাকীর মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে।
পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে শাহ আলম জানান- ছাত্রলীগ নেতা বুলেট মামুন, আবির, রায়হান, বিপ্লবের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা জুলাই স্মৃতি ফুটসাল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন। সেখানে খেলার শেষ সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তাদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করে বহিরাগতরা। এতে কলেজের প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। এসময় শাহ আলম নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার বিকেলে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচের এক পর্যায়ে সশস্ত্র ছাত্রলীগের একঝাঁক টোকাই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে ২০ এর অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অতিদ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আমরা হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করতে পেরেছি। মূলত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় সহ্য করতে না পেরে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালায়।