.png)
কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেট মহানগরের কিনব্রিজ এলাকায় যুবক খুনের ঘটনায় আরেকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কালা মিয়া নামের ওই যুবক দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে সিলেট কোতোয়ালি থানাপুলিশ।
কালা মিয়া (২৫) মৌলভীবাজার জেলার কাউতলা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। সিলেট মহানগরের ঘাসিটুলা এলাকায় বসবাস করতেন তিনি।
গ্রেফতারের বিষয়টি শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে কওমি কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক।
হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কিনব্রিজের নিচে আলী আমজদের ঘড়ির পাশে একজনের ছুরিকাঘাতে ডালিম আহমদ (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার মেরেঙ্গা এলাকার লোকমান মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন- ঘটনার সময় হামলাকারী ও ডালিম আলী আমজদের ঘড়ির পাশে দাঁড়িয়ে আলাপ করছিলেন। হঠাৎ একজন ছুরি বের করে ডালিমকে আঘাত করে। ছুরিকাঘাতকারী যুবক পরে সবার সামনে দিয়ে হেঁটে হেঁটে চলে যায়। তার হাতে ধারালো অস্ত্র থাকায় কেউ তাকে ধরতে বা এগিয়ে আসতে সাহস করেননি। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
এর আগে স্থানীয়রা ডালিমকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার ভোররাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাঈম আহমেদ রজব (১৯) নামের এক কিশোরকে আটক করে। সে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল এলাকার পানিছড়া গ্রামের মো. মনাফ মিয়ার ছেলে। তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা জব্দ করেছে পুলিশ।
এদিকে, শুক্রবার বিকালে ডালিম আহমদের মা রীতা বেগম বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৭ আসামির নাম উল্লেখ করে দায়েরকৃত মামলায় অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন ৪-৫ জন।
পুলিশ জানিয়েছে, খুন হওয়া ডালিম ও অভিযুক্তরা সবাই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে সেদিন খুন হন ডালিম।
