চিকিৎসা নিতে এসে ডাক্তারের সঙ্গে নারীর প্রেম-মিলন, চিকিৎসক কারাগারে

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ :

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে (২৮) ধর্ষণ’ করার অভিযোগে কিবরিয়া খান (৩২) নামে এমবিবিএস পাশ এক চিকিৎসককে জেলহাজতে যেতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই নারী।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ধর্মপাশা থানায় তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।

পরে শনিবার দিবারাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভেতর থেকে আসামি ডাক্তার কিবরিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার চড়িয়াকোনা গ্রামে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ- কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার চড়িয়াকোনা গ্রামের বাসিন্দা এমবিবিএস ডা. কিবরিয়া গত ৯ মাস ধরে ধর্মপাশা উপজেলার স্বর্ণা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রাইভেট রোগী দেখতেন। তিনি উপজেলার রাজনগর গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বাসিন্দা দুই সন্তানের জননী ওই নারী শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে তিনি স্বর্ণা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসে ডা. কিবরিয়ার কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন। এরপর তাদের দুজনের মধ্যে প্রায়ই মোবাইলে কথাবার্তা চলছিল। প্রায় ছয় মাস ধরে ডা. কিবরিয়ার সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাতে বেশ কয়েক দিন ওই নারীর বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন ডা. কিবরিয়া। এ নিয়ে ওই নারী বাধা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছিল না। সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট রাত ২টার সময় ওই নারীর বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন কিবরিয়া। বিয়ের করার কথা বললে ওই চিকিৎসক নানা কৌশলে এড়িয়ে যেতেন।

ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন- ভুক্তভোগী নারী শনিবার রাতে থানায় একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় চিকিৎসক কিবরিয়া খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্ব) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ জেলাসদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।