জমিয়ত নেতা মুশতাক ‘হ ত্যা’, সিলেটে একজন গ্রেফতার

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীকে (৫২) ‘হ ত্যা’র ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সিলেটের শাহপরাণ থানাপুলিশের সহযোগিতায় রবিবার দিবাগত (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টার দিকে সিলেট মহানগরের টিলাগড় এলাকা থেকে এম আব্দুল হাফিজ নামের ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দিরাই থানার একটি টিম।

তার বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের দরগাহপুর গ্রামে।

আব্দুল হাফিজের ফেসবুক প্রোফাইলে উল্লেখ- তিনি সুনামগঞ্জের চারগ্রাম নলোয়ারপার নুরে মদীনা হাফিজিয়া মাদরাসার মুহতামিম (পরিচালক)। এছাড়া ছাত্র জমিয়ত দক্ষিণ সুনামগঞ্জ (বর্তমানে শান্তিগঞ্জ) উপজেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। পড়ালেখা করেছেন করেছেন জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া হুছাইনিয়া দারুল উলুম দরগাহপুর মাদরাসায়।

গ্রেফতারের বিষয়টি কওমি কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এসপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

সুনামগঞ্জ জেলাপুলিশের একটি সূত্র কওমি কণ্ঠকে জানিয়েছে- এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কওমি কণ্ঠকে বলেন- ঘটনার পরে নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা হত্যা মামলার এজাহারে আব্দুল হাফিজের নাম রয়েছে। রয়েছেন অজ্ঞাত আসামিও কয়েক জন। তদন্তকালে আরও কাউকে জড়িত পাওয়া গেলে আসামির সংখ্যা বাড়বে।

উল্লেখ্য, মাওলানা মুশতাক আহমদ ২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ৮ টায় সুনামগঞ্জ শহরে যাওয়ার কথা বলে গাজীনগরস্থ নিজ বাড়ি থেকে বের হন। রাত সাড়ে ১০টায় দিরাই রাস্তা পয়েন্টে বনফুল মিষ্টির দোকানের সিসি টিভির ফুটেজে তাকে দেখা যায়। রাত সাড়ে ১১টায় একই পয়েন্টের আরেকটি দোকানের সিসি টিভির ফুটেজে তাকে দেখা যায়। রাত ১১টা ৪০ মিনিটে তার সাথে থাকা মোবাইল সেটটি বন্ধ হয়। এরপর থেকে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও নিখোঁজ হন।

পরদিন সম্ভাব্য সব জায়গায় তাকে খুঁজে না পাওয়ায় দুপুরে শান্তিগঞ্জ থানায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

নিখোঁজের ৫৮ ঘন্টা পর ৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে দিরাই থানার শরীফপুর গ্রামের ইটভাটার পাশে পুরাতন সুরমা নদীতে স্থানীয়রা মাওলানা মুশতাকের লাশ ভাসতে দেখে পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন গিয়ে লাশ সনাক্ত করে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেওয়া হলে তারা গিয়ে নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে।

দল ও পরিবারের দাবি- মাওলানা মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে।