কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার একসঙ্গে উদ্যোগ নিয়েছেন মহানগরের সড়ক-রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরানোর। তাদের দুজনের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত ছিলো- রবিবার (আজ ১৯ অক্টোবর) থেকে সিলেটের কোনো ফুটপাত বা সড়কে ভ্রাম্যমান ক্ষুত্র ব্যবসায়ীরা (হকার) আর বসতে পারবেন না।
কথা অনুযায়ী- দুপুরের পর থেকে মহানগরের বন্দরবাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ রাখা হয়েছে- যাতে কোথাও হকার বসলেই তাদের জন্য নির্ধারিত স্থান লালদিঘীরপাড় মাঠে পাঠানো হয়।
বিকাল ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার ও তালতলাসহ আশপাশ এলাকায় কোথাও হকার বসতে দেখা যায়নি।
ফলে আজ এসব এলাকায় নেই যানজট, পথচারী ও নগরবাসীর মাঝে বিরাজ করছে স্বস্তি।
এর আগে লালদিঘীরপাড় মাঠে সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যেগে বাশ ও পলিথিন দিয়ে শেডি বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ছোট ছোট অস্থায়ী দোকানে হকারদের বসে ব্যবসা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার হকাররা সড়কে ফিরলেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এসপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রবিবার দুপুরে কওমি কণ্ঠকে বলেন- আজ ৭জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৭টি টিম সড়কে নামছেন। আজ তারা সড়ক বা ফুটপাতে হকার পেলে তাদের লালদিঘীরপাড় মাঠে পাঠিয়ে দেবেন। এরপর থেকে সড়কে হকার পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেট মহানগরের শীর্ষ কয়েকটি সমস্যার মধ্যে একটি হচ্ছে হকার। বিগত সময়ের মেয়ররা তাদের সড়ক-ফুটপাত থেকে উচ্ছেদে দফায় দফায় উদ্যোগ নিয়েও সফল হননি।
এবার দেখার বিষয়- প্রশাসন এ কাজে সফল হয় কি না। হলে সিলেটবাসীর প্রশংসায় ভাসবেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী (পিপিএম- সেবা) ও জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম।