কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
সিলেট বিভাগের দুই উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। একজন আজ সকালে ও অপরজন গতকাল রাতে।
জানা গেছে, হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাজার জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় বাদল মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন যাত্রী। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেজুড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বাদল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা গ্রামের পল্টু মিয়ার ছেলে।
আহতদের সবাই একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- তারা সবাই গত রোববার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার এক মাজারে জিয়ারত শেষে ভোরে ‘দিগন্ত পরিবহন’-এর একটি যাত্রীবাহী বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসটি যখন মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া এলাকায় পৌঁছায়, তখন বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাক বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার ফলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের গভীর খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে বাসের নিচে অনেক যাত্রী আটকা পড়ে এবং বাদল মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। আহতদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানাপুলিশের এস. আই. প্রনয়েল চাকমা।
এদিকে, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-জুড়ী আঞ্চলিক সড়কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মারওয়ান আলম (২৪) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন এবং চারজন আহত হয়েছেন। রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মারওয়ান বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের মৃত নাছির উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক ১২টার দিকে কুলাউড়া থেকে বড়লেখাগামী একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীতদিক থেকে আসা একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ান গুরুতর আহতসহ মোট পাঁচজন আহত হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মারওয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে পিকআপ চালক শ্রীমঙ্গলের আলম মুন্সী ও তার সহকারীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।