কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ সোমবার কার্তিক মাসের ১৮ তারিখ। ইংরেজি মাস নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ। সাধারণত এ সময়ের মধ্যে দেশের আকাশে হালকা কুয়াশা আর বাতাসে শীতের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। উত্তরের কিছু এলাকায় শীতের পরশ লাগলেও রাজধানী ঢাকা কিংবা উত্তর-পূর্বাঞ্চললের সিলেটে এখনো ঠান্ডার ছোঁয়া তেমন টের পাওয়া যাচ্ছে না। তবে গত দুদিনের বৃষ্টিতে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হয়ে এসেছে।
এরই মধ্যে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে- শীত আসতে আর বেশি দেরি নেই। ১০ নভেম্বরের পর থেকেই শীতের আগমন ঘটতে পারে। মাসের শেষ নাগাদ সারাদেশেই শীত জেঁকে বসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সরকারি সংস্থাটি।
রোববার (২ নভেম্বর) প্রকাশিত তিন মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- চলতি মৌসুমে দেশে ১০টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। ফলে ডিসেম্বরে শীতের তীব্রতা চরমে উঠবে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন- এ সময় দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে ৪টি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার মধ্যে অন্তত দুটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর একটি বা দুটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আগামী তিন মাস ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম, মধ্যাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা দেবে। কুয়াশার কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে গিয়ে শীতের অনুভূতি আরও বাড়বে।
আবহাওয়াবিদরা আরও বলেন, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে ৪ থেকে ৭টি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব অর্থাৎ সিলেট বিভাগ ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস পেলেও সামগ্রিকভাবে তা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকবে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।