কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
দেশের সবচেয়ে বড় কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ‘বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ’ ও সকল বোর্ডের মঞ্জুরি বোর্ড ‘আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ সংস্কারের দাবি উঠেছে। ‘সচেতন কওমি ছাত্রসমাজ’র ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে উবায়দুর রহমান খান নদভী, ফয়জুল্লাহ ও আনাস মাদানীসহ বেশ কয়েকজনকে অপসারণ করার দাবি জানানো হয়।
বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে বক্তৃতা করেন সংগঠনের নেতা আব্দুল আহাদ তাওহীদ, তহা মোহাম্মদ, আবুল হাসনাত মেহেরাব ও তানভীর আহমদ শিপন প্রমুখ।
লিখিত বক্তৃতায় তারা বলেন, বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার একজন দায়িত্বশীল উবায়দুর রহমান খান নদভীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে। তিনি সম্প্রতি টঙ্গী মাঠে সুরায়ে নিজামের চারজন তাবলিগের সাথী হত্যাকাণ্ডের একজন অন্যতম পরিকল্পনাকারী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারেকুল ইসলাম ফেসবুক লাইভে এ অভিযোগের পর বেফাকের কাছে তিনি এ অভিযোগের স্বপক্ষে সাক্ষী ও প্রমাণ পেশ করেছেন।
এ অভিযোগের উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ার পর থেকেই নদভীসহ ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের অপসারণের দাবিতে মাঠে নেমে এসেছে সচেতন কওমি ছাত্রসমাজ। এ সময় দুই দফা দাবি জানান তারা।
দফাগুলো হলো- এক. ৫ আগস্ট পরবর্তী চার মাস অতিবাহিত হলেও শিক্ষা বোর্ড বেফাককে ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করা হয়নি। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উবায়দুর রহমান খান নদভী, ফলাজুল্লাহ ও আনাস মাদানীসহ ফ্যাসিস্টের সব দোসরদের অপসারণ করতে হবে। জরুরি বৈঠক ডেকে বেফাক ও হাইয়াতুল উলয়ার সব দায়িত্ব থেকে তাদের অব্যাহতি দিতে হবে।
দুই. ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও অকার্যকরভাবে যে কওমি সনদের মুলা ঝুলিয়েছিল, তা কার্যকর করতে এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অতিসত্বর শিক্ষাবিদ ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সনদের কার্যকারিতা নিশ্চিতকরণে বেফাককে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।