সিলেটে প্রবাসীর সম্পত্তি ‘আত্মসাৎ’

কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :

লন্ডন প্রবাসী ফখরুল ইসলাম সেবুল শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম আজাদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।

তিনি দাবি করেন- চেয়ারম্যান তার পরিবারের সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে নানান চক্রান্ত চালাচ্ছেন এবং তার ও পরিবারের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে।

ফখরুল ইসলাম সেবুল সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে লন্ডনে প্রবাসী জীবনে বসবাস করছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম আজাদ, তার ভাই-বোনদের ভরণপোষণ, শিক্ষা ও বিবাহের সব খরচ বহন করেছেন। তার পরিবারের অর্থায়নে চেয়ারম্যান ও তার ভাই-বোনদের বিয়ে হয়েছে। এছাড়াও ছোট দুই ভাই, কামরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলামকে দেশে শিক্ষালাভে সহায়তা করা হয় এবং পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষা ও জীবিকা অর্জনের জন্য লন্ডনে আনা হয়।

ফখরুল ইসলাম সেবুল অভিযোগ করেন, গত কয়েক বছর ধরে চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম আজাদ ও তার ভাই আহাদ তার সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে নানান চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন। ১৯৬৮ সালে তার দাদা মোবারক আলী থেকে প্রাপ্ত বাড়ি ও জমিসহ তার সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকেল ৫টার দিকে তার ভাবী শারমিন বেগম তাকে ফোন করে জানিয়েছেন যে, চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম আজাদ ও তার ভাই মাহবুবুল ইসলাম আহাদ দেশীয় অস্ত্র, দা, রড ও ডেগার নিয়ে বাড়িতে হুমকি সৃষ্টি করেছেন। তারা চিৎকার-গালিগালাজ করে বাড়ির প্রবেশদ্বার বন্ধ করার চেষ্টা করেছে এবং শারমিন বেগম বাধ্য হয়ে নিজের রুমে তালা দিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন।

এই ঘটনা শুনে ফখরুল ইসলাম সেবুল আতঙ্কিত হয়ে শাহপরান থানায় অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ তাকে দাসপাড়া বাজারে নিরাপদ স্থানে অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন এবং একটি টহল টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে ফখরুল ইসলাম ও তার পরিবারের বাড়িতে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশ দেখতে পান, চেয়ারম্যান ও তার ভাই আহাদ তার বাবা তফজ্জুল আলীকে নিয়ে মিথ্যা নাটক সাজানোর চেষ্টা করছেন, দাবি করেছেন ফখরুল ইসলাম।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, চেয়ারম্যান ও তার পরিবার যে কোনো সময় তার জীবন এবং পরিবারের ওপর অঘটন ঘটাতে পারে। এছাড়াও ৯০ বছর বয়সী অসুস্থ পিতাকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা হতে পারে। তাই তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সিলেট জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচারের আবেদন করেছেন।