কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সবজি বিক্রেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর এলাকা থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামে সিএনজিচালিত এক অটোরিকশাচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওসমানীনগেরের দয়ামীর এলাকার রাইগধারা গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল হাসান ভূইয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শনিবার রাতের কোনো এক সময়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের অটোরিকশাটির সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারনা- অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কৃষি জমি থেকে জিতু মিয়া (৪৫) নামে এক সবজি বিক্রেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার বাজারসংলগ্ন একটি কৃষি জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জিতু মিয়া গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের মৃত মৌরশ মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় জনতার বাজারে সবজি বিক্রি করতেন।
পুলিশ জানায়- শনিবার বিকেলে প্রতিদিনের মতো তিনি জনতার বাজারে সবজি বিক্রি করছিলেন। সন্ধ্যার দিকে তিনি তার ছেলেকে দোকানে বসিয়ে বাইরে যান। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ (রবিবার) সকালে স্থানীয়রা বাজারের পাশের একটি কৃষি জমিতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। গোপলারবাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং লাশটি জিতু মিয়ার বলে চিহ্নিত করা হয়।
পরে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া বলেন- নিহতের পরিবার দাবি বলছে, জিতু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।