কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :
জৈনপুর দরবার শরিফের পীর ও দেশের জনপ্রিয় বক্তা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেছেন- ‘ইলমের মূল ধারাটি ধরে রেখেছে কওমি মাদ্রাসা। এজন্য প্রত্যেক আলিয়া মাদ্রাসাওয়ালাদের আমি পরামর্শ দেই, আলিয়া মাদ্রাসার অঙ্গনে একটি দরসে নেজামী চালু করা হোক।’
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তার ওয়াজের একটি ভিডিওক্লিপে তাকে এমনটি বলতে দেখা গেছে। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘এবং প্রত্যেক আলিয়া মাদ্রাসার সাথে একটি নুরানী মক্তব ও হিফজখানাও থাকা দরকার।’
তবে আলিয়ার গুরত্বও কম নয় বলে মন্তব্য করেছেন গবেষক এ আলেম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আবার আলিয়া বাদ দেওয়া যাবে না।...কারণ, আলিয়া থেকে অনার্স, মাস্টার্স করে, পিএইচডি ডক্টর হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানের সমন্বয়কদের অর্ধেকই আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র বলে দাবি করেছেন এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী। কয়েকজন কওমি মাদ্রাসার ছাত্র বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। আব্বাসী বলেন, ‘তারা কওমিতে পড়ে আলিয়াতে অনার্স, মাস্টার্স করে জায়গামতো গিয়ে কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছেন।’
তিনি দাবি করে বলেন, ‘যদি আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসাকে সমন্বয় করা যেত, তাহলে বাংলাদেশ আমরা দখল করে ফেলতে পারতাম। আর এজন্য লাগবে মনের প্রশস্ততা।’ এজন্য আলিয়া ও কওমি সংশ্লিষ্টদের নিজেদের মধ্যে সমঝোতা ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ের পরামর্শ দেন ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী। আর কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে ইলম বেশি থাকার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন যে, তারা অনেক কষ্ট সহ্য করে; ওস্তাদদের খেদমত করে এবং সাদামাটা খাবার খায়।