- পাঁচ ভরি উদ্ধার
কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেট মহানগরের আল হামরা শপিং সিটির নুরানি জুয়েলার্সে চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ৫ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থেকে একজন এবং তার দেওয়া তথ্যমতে পরদিন বিকালে এ জেলার হোমনা থেকে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে সিলেট কোতোয়ালি থানাপুলিশের স্পেশাল টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার নেয়ামতপুর গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে ওয়াছেক মিয়া আলমগীর (২৫), একই জেলার হোমনা থানার হোমনা পোদ্দারপাড় গ্রামের মৃত প্রাণকুমার দেবনাথের ছেলে সোহেল দেবনাথ (৪২) ও একই থানার শ্রীমতি পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত সোনা মিয়া সিকদারের ছেলে মো. আবুল হোসেন (৫৩)।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান- নুরানি জুয়েলার্সে চুরির ঘটনায় মামলা দায়েরের পরপরই চোরাই স্বর্ণ উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে কোতোয়ালি থানার এসআই মনিরুল ইসলাম-কে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এছাড়া এসএমপি কমিশনারের নির্দেশে চোরদের ধরতে কোতোয়ালি থানার কয়েকজন চৌকস অফিসারকে দিয়ে গঠন করা হয় একটি স্পেশাল টিম।
এ টিম আল-হামরা শপিং সিটির বিভিন্ন ফ্লোরের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের পর পর্যালোচনা করে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একাধিক আসামির অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে এ টিম আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৪ টা থেকে কুমিল্লার মুরাদনগর থানার বিভিন্ন এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে পরিচালনা করে। একপর্যায়ে সকাল ৬টার দিকে মুরাদনগরের নেয়ামতপুর গ্রাম থেকে ওয়াছেক মিয়া আলমগীরকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কুমিল্লার হোমনার হোমনা বাজার থেকে আসামি সোহেল দেবনাথ ও মো. আবুল হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আরও জানান- আলমগীরকে গ্রেফতারের পর তিনি নুরানি জুয়েলার্সে চুরির ঘটনায় সরাসরি জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তিন আসামিকে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এছাড়া চুরির ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, গ্রেফতারকালে এ তিনজনের কাছ থেকে ৫ ভরি ১২ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী দেওয়ান মো. জাবেদ চৌধুরী মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ২৫ দিন পর তিন আসামিকে ধরতে পেরেছে পুলিশ।