কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে রোববার দিবাগত (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে ১০-১২টি গাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এসময় ডাকাতরা গাড়িচালক ও যাত্রীদের মোবাইল ফোন এবং সব টাকা নিয়ে যায়। এসব গাড়ির মধ্যে ছিলো সিলেট থেকে যাওয়া একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সও। সেই অ্যাম্বুলেন্সে থাকা লাশের স্বজনদেরও ছাড় দেয়নি ডাকাতরা, নিয়ে যায় মোবাইল ও টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র।
জানা যায়, রোববার রাতে সিলেট মহানগরের সোবহানীঘাটস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যাওয়া মাধবপুর উপজেলার মনতলা গ্রামের একজনের লাশ নিয়ে যাচ্ছিলো এভারগ্রিন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের একটি গাড়ি। রাত ১টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জ পার হওয়ামাত্র ডাকাত দলের কবলে পড়ে এই অ্যাম্বুলেন্সসহ ১০-১২টি গাড়ি। ডাকাতরা এসময় চালক ও যাত্রীদের মারধর করে মোবাইল ফোন, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
সিলেট এভারগ্রিন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ওই গাড়িচালক জালাল আহমদ কওমি কণ্ঠকে বলেন- আমাদের লাশবাহী গাড়িটাকেও ছাড় দেয়নি ডাকাতরা। আমার অ্যাম্বুলেন্সে লাশের সঙ্গে নারী স্বজনরা ছিলেন। তাদেরও মারধর করে মালামাল লুট করে ডাকাতরা।
এদিকে, ওই ডাকাত দলের হামলায় মো. মহসিন মিয়া (৩৮) নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন রোডে অবস্থিত গ্রামীন টেলিকম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী ও শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের নিশাপট গ্রামের মৃত আ. রহিম মাস্টারের ছেলে। ডাকাতির সময় খবর পেয়ে তিনি প্রতিরোধ করতে গেলে ডাকাতরা তার উপর হামলা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাত ৪টার দিকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।