বলয় ধরে রেখেছেন পতিত সরকারের আমলারা

কওমি কণ্ঠ ডেস্ক :

গত সাড়ে ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের অনিয়ম ও লুটপাটের সহযোগী হিসেবে দায়িত্বপালনকারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩২ জন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, ‍বিভাগের সচিব এবং কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে সচিবের মর্যাদায় নিয়োজিত আছেন।

জনপ্রশাসনের শীর্ষপদে থেকে পৃথক বলয় তৈরি করেছেন পতিত হাসিনা সরকারের এসব আমলা। উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনা ও নীতি বাস্তবায়নে গতি না ফেরা এবং ক্ষেত্রবিশেষে বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে এসব আমলার অসহযোগিতাকে দায়ী করছেন জনপ্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সরকারের সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার দেশ-এর। তাদের মতে, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনো আগের সরকারের সুবিধাভোগীরা রয়েছেন। ফলে প্রশাসনকে গতিশীল করা সরকারের জন্য এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের সরানোর পর দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তার সংকট রয়েছে। এ সুযোগে ভুয়া ভোট, রাতের ভোট ও ডামি ভোটের কারিগর ডিসি ও এসপিদের অনেকেই এখনো প্রশাসনের নীতিনির্ধারণী পদে রয়ে গেছেন।

প্রশাসনকে গতিশীল করা ও বিগত সরকারের সুবিধাভোগী এবং তিনটি ভুয়া ভোটের কারিগরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি কাজ করলেও আশানুরূপ ফল পায়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, চাকরিবিধি ভেঙে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে যেভাবে সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে, তাতে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের সুবিধাভোগীরাই এখন দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠে বেশি সোচ্চার।

প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে শৃঙ্খলা ও গতি ফিরে না আসায় মাঠপ্রশাসনেও বিরাজ করছে স্থবিরতা। জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তারা নিজেদের ‘মহারাজা’ ভাবছেন। ভূমি ও স্থানীয় সরকার খাতে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নাজেহাল হচ্ছেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। জুলাই বিপ্লবের অন্যতম স্লোগান জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তোলা এবং ঘুস, দুর্নীতি ও অনিয়মের মূলোৎপাটন হলেও প্রশাসনে এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনা নেই।

প্রশাসনকে জনবান্ধব ও জুলাই-আগস্টের চেতনার ভিত্তিতে গড়ে তুলতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন। তাদের অভিমত, পতিত হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী আমলাদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রেখে গতিশীল ও জনবান্ধব প্রশাসন আদৌ সম্ভব নয়।

প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসর :
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমার দেশকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুর দিকে হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের তালিকা করার জন্য সরকার দায়িত্ব দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়কে। ধর্ম মন্ত্রণালয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ সব দপ্তরপ্রধানকে শহীদ ও আহতদের নামের তালিকা চেয়ে চিঠি দেয়।

সিনিয়র সহকারী সচিব খান শাহানুর আলমের সই করা ওই চিঠিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করে বলা হয়, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় সংঘটিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের তথ্য।’

পরবর্তী সময়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার ও অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি যোগ দেন জাকিয়া খানম। ব্যাপক দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগের তদন্ত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জানতে পেরেছে জাকিয়া যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব নিয়েছেন, যা চাকরিবিধির গুরুতর লঙ্ঘন। দুর্নীতি দমন কমিশনও তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। জাকিয়া এখনো নিজ পদে বহাল।

প্রশাসনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের হাজারো সহযোগী এখনো সক্রিয়। ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের ‍মুখে ক্ষমতা ছেড়ে হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিলেও এসব সহযোগী তাদের ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনে কাজ করে চলেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাতের ভোট হিসেবে কুখ্যাতি পাওয়া ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ৬৪ জেলার ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৪৯৪ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে তাদের অধিকাংশকেই পদোন্নতি দিয়ে বিগত সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে পদায়ন করে। রেজিম চেঞ্জের (পটপরিবর্তন) পর তাদের অধিকাংশই আগের পদে রয়ে গেছেন।

২০১৮ সালে রাতের ভোটের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভূমিকা পালনকারীরা এখনো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডে, তথ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিসংখ্যান বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, উড়াল সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, ভূমি সংস্কার বোর্ড সদস্য, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, রাজউক, সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডেও ফ্যাসিবাদের দোসররা বহাল রয়েছেন।

প্রশাসনে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানকে নিয়ে। বিগত সরকারের আমলেও প্রভাবশালী সচিব হিসেবে তার পরিচিতি ছিল। সম্প্রতি অযাচিতভাবে ভ্যাট আরোপ করে সারাদেশে সরকারকে বিতর্কিত ও বিব্রত করেন এ সচিব।

সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানকে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব পদে নিয়োগের জোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন আওয়ামীপন্থি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ কর্মকর্তা টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ওই আমলে তিনি তিনটি মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বর্তমানে তিনি বিশেষ ভারপ্রাপ্ত (ওএসডি) কর্মকর্তা হিসেবে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত আছেন।

‘বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটি’র একটি ইউনিটের সভাপতি ছিলেন ড. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। বর্তমানে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন। গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এ সচিবকে নিয়েও প্রশাসনে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের। একজন রাজনৈতিক নেতা জানান, ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনের সময় তিনি সাতক্ষীরায় ডিসি থাকাকালে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বহু বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় গোটা সাতক্ষীরা জেলাকে বিরোধীদলমুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশে হাসিনার অনুসারী :
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, জুলাই গণহত্যার ঘটনায় সাভারের প্রথম শহীদ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের দায়মুক্তি দিয়ে প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে। অথচ ওই ঘটনার মর্মান্তিক দৃশ্যের ভিডিও দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে এলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যায় জড়িত পতিত সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পলাতক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) রমনার পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ। এ প্রতিবেদন তৈরিতে তাকে চাপ দেন পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নির্দেশে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

পুলিশ বাহিনীতে বিগত সরকারের প্রতি অনুগত এমন কর্মকর্তার সংখ্যা অসংখ্য। তাদের চিহ্নিত করে মতামত দিতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গুম-নির্যাতনে জড়িত আওয়ামী আমলাতন্ত্র :
আওয়ামী আমলাতন্ত্রের বিষয়ে সাবেক সিনিয়র সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আট পৃষ্ঠার একটি সংস্কার প্রস্তাব পেশ করেন। এ প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সিভিল প্রশাসন তার স্বকীয়তা হারিয়ে একটি দলীয় প্রশাসনে রূপ নিয়েছে। ওই সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিনা ভোট, নৈশভোট ও ডামি ভোটের অবৈধ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নির্যাতন, গুম, খুন, মানবাধিকার ও মুক্তচিন্তা হরণের সঙ্গে সিভিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত ছিলেন।

ওই আমলে দেশকে ‘চামচা পুঁজিবাদ’ থেকে ‘চোরতন্ত্রে’ পরিণত করা হয়েছে। এ ‘চোরতন্ত্রে’ আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ, ব্যবসায়িক অলিগার্ক এবং সামরিক-বেসামরিক আমলারা সহযোগী ছিলেন।

যা বলছেন জনপ্রশাসন সচিব :
দলীয় কাঠামোতে তৈরি প্রশাসনের কাঁধে ভর করে শেখ হাসিনা তার ফ্যাসিবাদী শাসনকে স্থায়ী রূপ দিতে পেরেছিলেন বলে মনে করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মুখলেছুর রহমান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রেজিমে প্রশাসনে মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতার মূল্যায়ন ছিল না। দলীয়করণ করতে গিয়ে গোটা প্রশাসনের চেইন অব কমান্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। জনপ্রশাসনকে পুরোপুরি আওয়ামী প্রশাসনে পরিণত করা হয়েছিল।

ফলে ওই সময় রাষ্ট্রের স্বার্থ নয়, আওয়ামী লীগের দলীয় স্বার্থ রক্ষা করাই ছিল কর্মকর্তাদের প্রধান দায়িত্ব। দলীয় বৃত্ত থেকে প্রশাসনকে বের করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সত্যিকারের জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে সংস্কার কাজ চলমান।

এ সিনিয়র সচিব আরো বলেন, গত তিনটি ভুয়া ভোটের কারিগর, ফ্যাসিস্ট সরকারের সহকারী ও গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমাতে যারা ভূমিকা রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি কাজ করছে।


মূল রিপোর্ট : আমার দেশ