সুনামগঞ্জের সেই এসপিকে যা করা হলো

  • পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

‘স্যার’ না বলায় খেপে যাওয়া সুনামগঞ্জের সেই এসপি আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খানকে এবার পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে বিতর্কের মুখে ১৭ ফেব্রুয়ারি তাকে সুনামগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বাংলাদেশ পুলিশের তিন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকসহ ১৮ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের (পুলিশ-১ শাখা) উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি করা হয়। 

এই ১৮ জনের মধ্যে এসপি আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান রয়েছেন। 

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী- বদলিকৃত তিন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের মধ্যে সিআইডি প্রধান মো. মতিউর রহমান শেখকে পুলিশ সদর দপ্তরে, রাজশাহী সারদার প্রিন্সিপাল (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. মাসুদুর রহমান ভূঁঞাকে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক পুলিশ অধিদপ্তরে (টিআর পদে) ও এন্টি টেরোরিজম ইউনিট প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্বে) খোন্দকার রফিকুল ইসলামকে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্বে) বদলি করা হয়েছে। এছাড়া একই প্রজ্ঞাপনে ৭ ডিআইজি ও ৮ পুলিশ সুপারকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে। 

জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর  আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‍“আমি আজ চাকরি ছাড়লে কালই নির্বাচন করতে পারব, বিএনপির সবচেয়ে বড় বড় নেতার সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে।”

গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তাকে এই মন্তব্য করতে শোনা যায় ভিডিওতে।

জানা যায়, গণঅধিকার পরিষদের নেতারা তাকে স্যার সম্বোধন না করায় তিনি ক্ষেপে যান। পরে বিতর্কের মুখে ১৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ হেডকোয়ার্টর্স থেকে পাঠানো আদেশে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। ওই আদেশে বলা হয়- ‍“সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নিকট দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮/২/২০২৫ তারিখে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকায় রিপোর্ট করবেন।”