কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :
সিলেটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৫টি গ্রামের মানুষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মহানগরের শাহপরাণ থানাধীন দাসপাড়ায় সংঘর্ষ চলে। বিকালে এর সূত্রপাত হয়। এ সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের কতিপয় নেতাকর্মী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। রাত সাড়ে ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্যকে কেন্দ্র করে ইফতার আগ মুহূর্তে শাহপরাণ দাসপাড়া, বংশীধর, বালুটিকর ও চকগ্রাম, হালুপাড়ার দুই পক্ষের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। রাত ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। এসময় দোকান-পাট ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয় অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনীও রয়েছে ঘটনাস্থলে।
রাত সাড়ে ১১টায় শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন কওমি কণ্ঠকে জানান- এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, দাসপাড়ায় সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। বুধবার রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল ও সদস্যসচিব শাকিল মোর্শেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- দাসপাড়ার সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে । তদন্ত কমিটি আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে এ ঘটনার মূল কারণ উদঘাটন এবং সংঘর্ষের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেউ জড়িত কি-না তা খুঁজে বের করে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও সদস্যসচিবকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো ।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল মুনিম ও জাহাঙ্গীর মিয়া এবং সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আমিনুর রহমান আমিন ।
তদন্তে দোষী প্রমাণিতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।