সাবেক আইজিপি সুনামগঞ্জের মামুন ফের রি মা ন্ডে

কওমি কণ্ঠ রিপোর্টার :

রাজধানীর মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আসিফ হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক আইজি সুনামগঞ্জের চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ আলতাফ হোসাইন ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। শুনানি আদালত তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুর থানাধীন এলাকায় গত ১৯ জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন আসিফ। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাত টায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হলে সহযোদ্ধারা তাকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর মিরপুর থানায় ২২ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়। এ মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ তথা অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে যোগ দেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আবদুল্লাহ আল-মামুন পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন।

আবদুল্লাহ আল-মামুন ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর গ্রেড-১ পদোন্নতি পান। চাকরির মেয়াদ পূর্ণ করে গত বছরের ১১ জানুয়ারি তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও দেড় বছর পুলিশের সর্বোচ্চ পদে থাকেন। ফলে বিতর্কিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় তিনিই ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থ্যান থামাতে হাসিনার নির্দেশে তার অধীনস্থ পুলিশ বাহিনী আন্দোলনকারীদের উপর নির্বিচারি গুলি চালায়।

৫ আগস্ট হাসিনার পলায়ন ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন আত্মগোপনে চলে যান। তবে রক্ষা হয়নি, ৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।